নিউ ইয়র্ক: ভর্তির মাপকাঠি পূরণ করতে না পারায় ৬০ জন ভারতীয় স্নাতক পড়ুয়ার মধ্যে অন্তত ২৫ জনকে কম্পিউটার সায়েন্স প্রোগ্রামের পড়াশোনা ছাড়ার নির্দেশ আমেরিকার ওয়েস্টার্ন কেনটাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের। প্রথম সেমেস্টারের পরই তাদের বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে হবে বলে জানা গিয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে ওই পড়ুয়াদের হয় ভারতে ফিরে আসতে হবে অথবা আমেরিকার অন্য কোনও বিশ্ববিদ্যালয় বা কোর্সে প্লেসমেন্ট খুঁজতে হবে।


 

কিছুদিন আগেই ভারতে ছাত্র ভর্তির জন্য জোরদার অভিযান চালায় ওই বিশ্ববিদ্যালয়। টিউশন ফি-তে ছাড় ঘোষণা করে, এলেই সঙ্গে সঙ্গে ভর্তি (স্পট অ্যাডমিশন)-র অফার দেয় তারা। ছাত্র খুঁজতে আন্তর্জাতিক রিক্রুটারদের নিয়োগ করে তারা। কতজন পড়ুয়াকে তাঁরা ভর্তি করাতে পারলেন, তার ভিত্তিতে তাঁদের পারিশ্রমিকও দেয়। গত জানুয়ারিতেই ভর্তি হয় ওই পড়ুয়ারা।

 

কিন্তু এর ৬ মাস না যেতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স প্রোগ্রামের চেয়ারম্যান জেমস গ্রে জানাচ্ছেন, ওই পড়ুয়াদের প্রায় ৪০ জন ভর্তির মাপকাঠিগুলিই পূরণ করতে পারেননি। তাঁকে উদ্ধৃত করে ‘দি নিউ ইয়র্ক টাইমস’ জানিয়েছে, কিছু পড়ুয়াকে রেহাই দেওয়া হলেও অন্তত ২৫ জনকে বিদায় নিতেই হবে। তিনি বলেছেন, ওই পড়ুয়াদের প্রোগ্রাম চালিয়ে যেতে দেওয়া মানে খারাপের পিছনে অযথা অর্থের অপব্যয় করা। ওঁরা কম্পিউটার প্রোগ্রাম লিখতে পারেন না, যা কিনা ওদের পাঠ্যক্রমের অপরিহার্য অঙ্গ। আমেরিকার স্কুলগুলিতেও আন্ডারগ্র্যাজুয়েটদের এটা শেখানো হয়। গ্রে বলেছেন, ওঁদের প্রোগ্রাম লেখার ক্ষমতা না থাকলে সেটা আমার বিভাগের কাছে অত্যন্ত বিড়ম্বনার।

এদিকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় পড়ুয়াদের সংগঠনের চেয়ারম্যান আদিত্য শর্মা ওই পড়ুয়াদের এহেন পরিণতিতে উদ্বেগ জানিয়ে বলেছেন, ওদের জন্য সত্যিই খারাপ লাগছে। এত দূর ওরা এসেছে। টাকাপয়সাও দিয়েছে!

যদিও পাবলিক হেলথ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পড়ুয়া আদিত্য ক্ষোভের সুরে বলেছেন, ওই পড়ুয়ারা পড়াশোনাকে হাল্কা ভাবে নিয়েছিলেন।

এদিকে গোটা ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের ছাত্র ভর্তির বিজ্ঞাপন রিভিউ করছে। এও ঠিক হয়েছে, কোর্স অফার করার আগে তাদের কম্পিউটার সায়েন্স ফ্যাকাল্টিকে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে ভারতে পাঠানো হবে।