নয়াদিল্লি: ইসলামি সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থনের অভিযোগে সৌদি আরব, বাহরিন, মিশর, ইয়েমেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করায় সঙ্কটে কাতার। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে কাতার।

এক সপ্তাহ আগেও কাতারের রাজধানী দোহার দশ লাখের বাসিন্দার জন্য টাটকা দুধ, দুগ্ধজাত পণ্যের বেশিরভাগটা আসত সৌদি আরব থেকে। ৫ জুন কূটনৈতিক সংশ্রব ছিন্ন হওয়ার পর থেকে দুধ ও অন্য সামগ্রী আসছে না। কাতারকে ভাবতে হচ্ছে, অন্য কোন দেশ থেকে দুধ আনা যায়।

এই অবস্থায় কাতারেরই এক ব্যবসায়ী বিদেশ থেকে ৬০টি ফ্লাইটে চার হাজার গরু নিয়ে আসবেন বলে ঘোষণা করেছেন। মাওতাজ আল খায়াত নামে ওই ব্যবসায়ী বলেছেন, কাতারের জন্য কিছু করার সময় এটা।
মাওতাজ পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল হোল্ডিং সংস্থার চেয়ারম্যান।

ব্লুমবার্গ সংবাদ সংস্থার খবর, তিনি ৬০টি গরু কিনেছেন অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকায়। প্রথমে ভেবেছিলেন, আমদানি করা ৪০০০ গরু জাহাজে চাপিয়ে দোহার কাছে তৈরি হওয়া ডেয়ারি ফার্মে নিয়ে আসা হবে। পরে ঠিক হয়, বিমানেই গরুগুলি নিয়ে আসা হবে। এর আগে কখনও এত বেশি সংখ্যায় গরু বিমানে চাপিয়ে কোথাও পাঠানো হয়নি।

এদিকে ইরান, তুরস্ক, ওমানের সাহায্য চাইছে কাতার। ইরান ৫টি বিমানে রবিবার শাকসব্জি পাঠিয়েছে। একেকটিতে ৯০ টন করে খাদ্যসামগ্রী এসেছে। পাশাপাশি ইরানের বন্দর থেকে সাড়ে তিনশ টন ফল, সব্জিও পাঠানো হচ্ছে। তুরস্ক থেকেও কাতারে দুগ্ধসামগ্রী যাচ্ছে।