ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’-র ধাক্কায় তছনছ বাংলাদেশ। শেষ খবর মেলা পর্যন্ত অন্ততপক্ষে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন কয়েক হাজার মানুষ। নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কয়েক লক্ষ মানুষকে।
১৫০ কিলোমিটার বেগে বাংলাদেশ উপকূলে মঙ্গলবার সকালে আছড়ে পড়ে ‘মোরা’। ভেঙে পড়েছে বহু ঘর-বাড়ি, বিপর্যস্ত জনজীবন। ‘মোরা’র আশঙ্কায় প্রশাসন আগে থেকে প্রায় তিন লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।
আজ সকাল ছটায় বাংলাদেশের হাওয়া অফিস একটি বিশেষ আবহাওয়া বুলেটিন প্রকাশ করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল মোরা কক্সবাজার-চট্টগ্রামে আছড়ে পড়ে উত্তর দিকে সরে যাবে। আপাতত আরও উত্তরে সরে গিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়।
নিহতরা সকলেই কক্সবাজার ও রাঙামাটি এলাকার বাসিন্দা। একজনের মৃত্যু হয় হৃদরোগে। বাকিরা মারা যান গাছ ও বাড়ি ভেঙে। মোরার প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে বৃষ্টির সঙ্গে চলছে ঝোড়ো হাওয়া।
মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়। তিন লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও সরকারি দফতরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে সমস্ত উড়ান বাতিল করা হয়েছে।
বাংলাদেশের যেসমস্ত জায়গায় মোরার সতর্কতা জারি করা হয়েছিল তারমধ্যে ছিল কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালি, লক্ষীপুর, ফেনি, চাঁদপুর, বারগুনা, পাটুয়াখালি, ভোলা, বরিশাল এবং পিরোজপুর।
প্রায় তিন লক্ষ মানুষ অন্য জেলায় আশ্রয় দিয়েছেন। এর জন্য প্রায় ৪০০টি অস্থায়ী শিবির তৈরি করেছে বাংলাদেশ প্রশাসন। এছাড়া, সরকারি স্কুল, অফিসেও বহু শরণার্থীকে রাখা হয়েছে।
ভিয়েনা থেকে পুরো পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইশানুল করিম।