ইসলামাবাদ: জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে অদূর ভবিষ্যতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ‘দুর্ঘটনাবশত যুদ্ধ’ বেঁধে যেতে পারে। এমনই অভিমত জানালেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি।
জেনিভায় রাষ্ট্রপুঞ্জ মানবাধিকার পরিষদের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুরেশি জানান, তিনি বিশ্বাস করেন, যে কোনও রকমের সংঘাতের কী পরিণাম হতে পারে, তা উভয় দেশ বিলক্ষণ জানে। এটা সত্ত্বেও ‘দুর্ঘটনাবশত যুদ্ধ’-এর সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে, যে কোনও কিছু ঘটতেই পারে। তিনি যোগ করেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের হাই কমিশনার মিচেল বাচেলেত কাশ্মীর পরিদর্শন করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবারই, কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি তুলেছিলেন কুরেশি। জানান, এই বিষয়টি নিয়ে বাচেলেতের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে। তিনি হাই কমিশনারকে কাশ্মীরের ভারত ও পাক-- উভয় দিক পরিদর্শন করার অনুরোধ করেছেন। এদিন পাক বিদেশমন্ত্রী বলেন, বাচেলেতের উচিত দুদিকই পরিদর্শন করে যথাযোগ্য রিপোর্ট দেওয়ার। যাতে বিশ্ব জানতে পারে, সেখানে ঠিক কী পরিস্থিতি রয়েছে।
পাশাপাশি, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর ইস্যুর সমাধান অসম্ভব বলেও জানিয়ে দেন কুরেশি। তিনি বলেন, এই পরিবেশে ও মানসিকতায় আমার মনে হয় না কোনও দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হতে পারে।
এদিকে, মঙ্গলবার জেনিভায় কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে পাক দাবিকে পুরোপুরো খারিজ ও নস্যাৎ করে দেয় ভারত। নয়াদিল্লির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, বিশ্ব সন্ত্রাসের উৎসস্থলের থেকে কাশ্মীর নিয়ে একেবারে মনগড়া আখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।
অন্যদিকে, ইসলামাবাদে পাক বিদেশ দফতরের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়সল দাবি করেন, কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের অবস্থানকে সমর্থন করেছে সৌদি আবর ও আমিরশাহি। প্রসঙ্গত, এই দুই দেশের মন্ত্রীরা কয়েকদিন আগেই পাক সফরে গিয়েছিলেন। এরপরই, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয় যে, কাশ্মীর ইস্যুতে মাথা গলাতে অস্বীকার করেছে দুই দেশ। সেই খবরকে এদিন নস্যাৎ করে পাক বিদেশ দফতর।