রেশমা শুধু র্যাম্পে হাঁটার জন্যে চিরাচরিত সৌন্দর্যের ভাবনায় পরিবর্তন আনেনই, তিনি বাজার চলতি কিছু ক্ষতিকারক পণ্যের বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছেন। এই জিনিষগুলো সাধারণত ব্যবহার করা হয় শরীরের কোনও পুড়ে যাওয়া বা ক্ষত চিহ্নকে ঢাকার জন্যে। এই পণ্যগুলো সাময়িক সমস্যা থেকে মুক্তি দিলেও, ব্যবহারকারীদের জন্যে মারাত্মক ক্ষতিকারক, দাবি রেশমার। তাই অ্যাসিড আক্রান্তদের তাঁরা যেমন আছেন, সেভাবেই প্রকাশ্যে আসার পরামর্শ দিয়েছেন রেশমা। শুধু সঙ্গে থাকতে হবে আত্মবিশ্বাস।
রেশমা নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকের মঞ্চে হেঁটেছেন লম্বা হাতা, সাদা রঙের গাউন পরে। গাউনের ওপর ভারী সুতোর কাজ করা ছিল। ভারতীয় ডিজাইনার অর্চনা কোচ্চারের ডিজাইন করা পোশাকে হেঁটেছেন রেশমা।
প্রসঙ্গত, নিউইয়র্কের এই ইভেন্ট ইলাহাবাদের সেই জায়গা থেকে বহু দূরে, যেখানে দুবছর আগে অ্যাসিড হামলার শিকার হয়েছিলেন রেশমা। এই হামলায় রেশমার মুখ মারাত্মকভাবে জ্বলে গিয়েছিল, নষ্ট হয়ে গিয়েছে তাঁর একটা চোখও। তাই নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকের মঞ্চে পৌঁছে রেশমার মনে হয়েছিল তিনি স্বপ্ন দেখছেন।
একসময় নিজেকে শেষ করে ফেলতে চেয়েছিলেন রেশমা। কিন্তু পরে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃত্বে নিজের ভেতরে এক অদ্ভূত শক্তি ফিরে পান রেশমা। আর সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর ইচ্ছে ফিরে পান এই তরুণী। রেশমা সেই সমস্ত মানুষের কাছে অনুপ্রেরণা, যাঁরা একসময় অ্যাসিড হামলার মতো মারাত্মক ঘটনার শিকার হয়েছিলেন।
রেশমার আত্মবিশ্বাসও প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, অ্যাসিড আক্রান্তদের জীবনের মূলস্রোতে ফিরতে যথেষ্ট লড়াই করতে হয়। স্বাভাবিক জীবন তাঁদের কাছে কার্যত স্বপ্ন হয়ে যায়। সেখানে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে রেশমার আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্যাটওয়াক নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।