নয়া দিল্লি: রবিবারই আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালিবান। ক্ষমতায় আসার দু'দিন পরই এই প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন করে তারা। সেখানেই তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলে, "এটা আফগানিস্তানের জন্য গর্বের মুহূর্ত। গোটা দেশকে অভিনন্দন জানাতে চাই।"


তিনি বলে, "স্বাধীনতা প্রত্যেক দেশের অধিকার। ২০ বছর ধরে লড়াই করেছি আমরা। অবশেষে সেই কাঙ্খিত অধিকার ও স্বাধীনতা অর্জন করেছি। ঈশ্বরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আর কোনও যুদ্ধ বা দ্বন্দ্বের পুনরাবৃত্তি চাই না। শান্তিপূর্ণভাবে থাকতে চাই। দেশের ভিতরে কিংবা বাইরে, কাউকে শত্রু হিসেবে চাই না। আফগানিস্তান এখন মুক্ত। কারও প্রতি প্রতিশোধস্পৃহা নেই আমাদের। বিভিন্ন দেশের দূতাবাস সুরক্ষিত। সব ঠিকঠাক হয়ে গেলে, খুব দ্রুত ইসলামিক সরকার তৈরি হবে দেশে।"


যদিও আফগানিস্তানে অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে তালিবান মুখপাত্র বলে, ‘আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা ও শান্তির জন্য আমরা সবাইকে ক্ষমা করেছি। আমাদের যোদ্ধা, আমাদের জনগণ, সব পক্ষ, সব উপদল, সবার অন্তর্ভুক্তি আমরা নিশ্চিত করব।সরকার গঠনের পর আমরা সিদ্ধান্ত নেব এবং দেশের জনগণকে জানাব দেশ কোন আইনে চলবে।’ 


এদিকে, নিজেকে আফগানিস্তানের কেয়ারটেকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করে ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ। তিনি ট্যুইট করে নিজেকে আফগানিস্তানের কেয়ারটেকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করে। বরাবর তালিবানের কট্টর সমালোচক হিসাবেই পরিচিত সালেহ। একমাত্র উত্তর-পূর্বের পাঞ্জশির প্রদেশ এখনও তালিবান দখলে আসেনি। সেখানকার বিভিন্ন নেতার সঙ্গে সালেহর বৈঠকের ছবি সামনে এসেছে।


এদিকে, শান্তির দাবি করলেও, আফগানিস্তান জুড়ে তালিবানি-তাণ্ডব। রাস্তায় বেরোলেই মাথা কামিয়ে বেত মেরে অত্যাচার। তালিবান-আতঙ্কে মহিলা শূন্য কাবুলের রাস্তা। তালিবানের আশ্বাস, “শরিয়তি আইন মেনে কাজ করতে পারবেন মহিলারা। স্বাস্থ্য-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে কাজ করতে পারবেন মহিলারা।“


'জঙ্গি সংগঠন' তালিবান সংক্রান্ত পোস্টের ক্ষেত্রে কড়া অবস্থান ফেসবুকের। মার্কিন মুলুকের এই সোশ্যাল নেটওয়ার্ক জায়ান্টদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন তালিবানদের ক্ষেত্রে তাদের 'সোশ্যাল' নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের ক্ষেত্রে যে নিয়ম প্রযোজ্য হবে। পাশাপাশি ফেসবুকের বক্তব্যে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, তালিবানদের সমর্থন করে কোনও অ্যাকাউন্ট থেকে কিছু পোস্ট করা হলে নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা। নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে জারি হতে পারে নিষেধাজ্ঞাও।