কাবুল: নিজেকে আফগানিস্তানের কেয়ারটেকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করলেন ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ। তিনি ট্যুইট করে নিজেকে আফগানিস্তানের কেয়ারটেকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেছেন। ট্যুইটারে সালেহ লিখেছেন, ‘আফগানিস্তানের সংবিধান অনুসারে প্রেসিডেন্টের মৃত্যু, অনুপস্থিতি, পদত্যাগ বা পলায়নের ক্ষেত্রে ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট কেয়ারটেকার প্রেসিডেন্ট হয়ে যান। আমি এখন নিজের দেশেই আছি। আমি বৈধ কেয়ারটেকার প্রেসিডেন্ট। সব নেতার সমর্থন ও মত নেওয়ার জন্য তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।’


রবিবার তালিবান কাবুল দখল করার পরেই অন্তরালে চলে যান সালেহ। তিনি ট্যুইট করেন, ‘যে লক্ষ লক্ষ মানুষ আমার কথা শুনছেন, তাঁদের আমি হতাশ করব না। আমি কোনওদিন তালিবানের সঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকব না।’


এরপর সোমবার সালেহ ট্যুইট করেন, ‘আমার মাটিতে মানুষের সঙ্গে থাকব। তার একটি কারণ ও উদ্দেশ্য রয়েছে। ধর্মের উপর আমার বিশ্বাস রয়েছে। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট আগ্রাসন এবং বর্বর একনায়তন্ত্রের বিরোধিতা করছি।’


বরাবর তালিবানের কট্টর সমালোচক হিসাবেই পরিচিত সালেহ। একমাত্র উত্তর-পূর্বের পাঞ্জশির প্রদেশ এখনও তালিবান দখলে আসেনি। সেখানকার বিভিন্ন নেতার সঙ্গে সালেহর বৈঠকের ছবি সামনে এসেছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সোভিয়েত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো আহমদ শাহ মাসুদের ছেলেও। ২০০১ সালে সালেহকে দেশের গুপ্তচর সংস্থা ন্যাশনাল ডিরেক্টরেট অব সিকিয়োরিটি বা NDS’-এর প্রধান নিযুক্ত করেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। চলতি বছর দেশের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হন সালেহ। এবার তিনিই আফগানিস্তানে তালিবানের বিরুদ্ধে ফ্রন্ট তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করলেন।


আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি রবিবারই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি চার গাড়ি ভর্তি টাকা নিয়ে পালিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর সঙ্গে আফগানিস্তান ছেড়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামদুল্লাহ মুহিব, প্রেসিডেন্টের দফতরের প্রধান আধিকারিক ফাজেল মাহমুদ। আফগানিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার মীর রহমান রহমানি, ইউনূস কানুনি, মহম্মদ মুহাকেক, করিম খলিলি, আহমেদ ওয়ালি মাসুদ ও আহমেদ জিয়া মাসুদ ইসলামাবাদে পালিয়ে গিয়েছেন বলে আফগান সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। এছাড়া আফগানিস্তানের পার্লামেন্টের কয়েকজন সদস্যও ইসলামাবাদে পালিয়ে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।