নয়াদিল্লি : বিমানবন্দরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের দায় নিল জঙ্গি সংগঠন আইএস। গতকালের হামলায় অন্তত ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। কাবুল প্রশাসন সূত্রে খবর, হামলা চালিয়েছে আইএস খোরাসান গোষ্ঠী। জঙ্গি হামলায় ১৩ জন মার্কিন সেনারও মৃত্যু হয়েছে।


প্রথমে একটা! তারপর আরেকটা! আরও একটা । বিস্ফোরণ পরপর তিনবার। সেই সঙ্গে এলোপাথাড়ি গুলির শব্দ! মুহূর্তের মধ্যে কাবুল বিমানবন্দর যেন পরিণত হল যুদ্ধক্ষেত্রে! আশঙ্কা অবশ্য তৈরি হচ্ছিল সকাল থেকেই। অস্ত্র হাতে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে জড়ো হচ্ছিল তালিবানরা। চরম সতর্কতা জারি করেছিল আমেরিকা, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া। বিকেলে ইতালির একটা বিমান কাবুল বিমানবন্দর থেকে ওড়ার পরই বিমান লক্ষ্য করে উড়ে এসেছিল ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি। 



 


তারপর থেকেই আচমকা কাবুল বিমানবন্দরের বাইরের পরিস্থিতি থমথমে হতে শুরু করে। ঠিক যেন ঝড়ের আগের নিস্তব্ধতা। কিছু একটা হতে চলেছে। রাত আটটা বাজার আগেই কেঁপে ওঠে কাবুল বিমানবন্দর চত্বর। একের পর এক বিস্ফোরণ! মার্কিন সেনাকে আফগানিস্তান ছাড়ার জন্য ৩১ অগাস্ট অবধি ডেডলাইন দিয়েছিল তালিবান। কিন্তু, তার পাঁচদিন আগেই কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে ঘটে গেল একের পর এক ভয়াবহ বিস্ফোরণ!কাবুলের পর বিস্ফোরণ হয় কাজাখস্তানেও। অন্যদিকে, তালিবানের তরফে বিস্ফোরণের নিন্দা করা হলেও, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা যে মার্কিন সেনার হাতে, তা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার এই বিস্ফোরণের আগে, আফগানিস্তানে ঘটে যায় আরেকটা বড় ঘটনা। প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইকে গৃহবন্দি করে তালিবান। একইসঙ্গে গৃহবন্দি করা হয় প্রাক্তন আফগান CEO আবদুল্লা আবদুল্লাকেও।


 




আত্মঘাতী হামলার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বার করার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, এরপরেও আফগানিস্তান থেকে সাধারণ মানুষকে উদ্ধারের কাজ চলবে। গতকালই কাবুল বিমানবন্দরে জঙ্গি হামলার সতর্কবার্তা জারি করেছিল আমেরিকা, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া। রাত হতে না হতেই সেই আশঙ্কা সত্যি হল। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে কাবুলে জঙ্গি হামলার কড়া নিন্দা করেছে ভারত।