কাবুল:  প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আফগানিস্তানের পশ্চিম প্রান্ত। সোমবার পশ্চিম আফগানিস্তানের বাদঘিস প্রদেশ রিখটার স্কেলে ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। এই ঘটনায় কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও অনেকেই জখম হয়েছে বলে স্থানীয় আধিকারিককে উল্লেখ করে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা । সূত্রের খবর মাঝ রাতের ওই ভূমিকম্পে অনেক ঘরবাড়িও ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।


অন্যদিকে, শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আফগানিস্তানের এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৬। বাদগিসের কাদিস শহরে ঘরবাড়ির ছাদ ভেঙে ধ্বংস্তস্তুপে চাপা পড়ে বেশিরভাগের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহতের সংখ্যা অনেক বলেই খবর। হতাহতদের মধ্যে রয়েছে শিশু ও মহিলাও। 
আফগানিস্তান তালিবানের কব্জায় আসার পর এমনিতেই মানবিক বিপর্যয়ের কবলে পড়েছে আফগানিস্তান। কারণ, পশ্চিমী দেশগুলি আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে এবং বিদেশে থাকা সম্পদও আটকে দিয়েছে। এরইমধ্যে এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় সেখানের মানুষের সমস্যা আরও বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।


২০১৫-তে প্রবল ভূমিকম্পে আফগানিস্তানে ২৮০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। পার্বত্য এলাকায় ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৫ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের উৎসস্থল। সেই ভূমিকম্পের প্রভাব সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় দেখা দিয়েছিল।আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশ  পাকিস্তানেও অনেকের প্রাণহানি হয়েছিল। 


শুক্রবার রাতেও হয়েছিল ভূমিকম্প


এর আগে আফগানিস্তানে ফৈজাবাদে গত শুক্রবার রাতে ভূমিকম্প হয়েছিল। যদিও ওই ভূমিকম্পে প্রাণ বা সম্পত্তিহানির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। ওই দিন রিখটার স্কেলে ৫.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল আফগানিস্তানের ফৈজাবাদ। শুক্রবারের ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল ফৈজাবাদ থেকে ১১৭ কিলো মিটার দক্ষিণ-পূর্বে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ার প্রধান দ্বীপ জাভাতেও জোরাল কম্পন অনুভূত হয়েছিল। কম্পন অনুভূত হয়েছিল রাজধানী জাকার্তাতেও। তবে প্রাণ বা সম্পত্তি হানির কোনও ঘটনা ঘটেনি। ওই ভূমিকম্পে সুনামির কোনও আশঙ্কা নেই বলেও সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছিল।