কাবুল: ফের আগনানিস্তানে সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনা ঘটল। খবরে প্রকাশ, টোলো নিউজ রিপোর্টার জিয়ার খান ইয়াদকে মারধর করে তালিবান জঙ্গিরা। কেড়ে নেওয়া হয় যন্ত্রপাতি, মোবাইল ফোন। 


কাবুলের একটা অংশে দারিদ্র্য ও বেকারত্ব নিয়ে খবর করায় তালিবান রোষে পড়েন জিয়ার। এরপরই সাংবাদিক জিয়ার ইয়াদ ও তাঁর সঙ্গী চিত্রগ্রাহককে বেদম মারধর করা হয়। 


সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, বুধবার দুপুরে জিয়ার ও তাঁর সঙ্গী চিত্রগ্রাহককে কাবুলের হাজি ইয়াকুব অঞ্চলে মারধর করে তালিবান জঙ্গিরা। জিয়ার জানিয়েছিলেন, তাঁদের সব যন্ত্রপাতি কেড়ে নেওয়া হয়। 


তিনি বলেছিলেন, আমরা ছবি তুলছিলাম। আচমকা কয়েকজন তালিবান জঙ্গি এসে পথ আটকায়। কিছু জানার আগেই প্রথমে আমার মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয়। তারপর বন্দুকের বাট দিয়ে মারে। 


একাধিক সংবাদমাধ্যম অভিযোগ করেছে, আফগানিস্তানের দখল তালিবানের হাতে যাওয়ার পর থেকে সেখানে সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের কর্মীর ওপর হামলা হচ্ছে। 


জিয়ারের ঘটনা আফগানিস্তানে কর্মরত সাংবাদিকদের মনে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। অনেকেই এই পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন এবং জিয়ার সহ সাংবাদিক নিগ্রহ ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন। 


এদিকে, খবর ছড়িয়ে পড়ে যে জিয়ারকে হত্যা করেছে তালিবান জঙ্গিরা। যদিও, সাংবাদিক নিজে ট্যুইট করে সেই খবরকে ভুয়ো বলে উল্লেখ করেন।


তিনি বলেন, খবর করার সময় কাবুলের নিউ সিটিতে আমাকে তালিবান মারধর করে। ক্যামেরা সহ কাজের সরঞ্জাম এবং আমার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনও ছিনতাই করা হয়েছে। 


তবে, কিছু মানুষ আমার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে দিয়েছেন যা মিথ্যা। তালিবান জঙ্গিরা একটি সাঁজোয়া ল্যান্ড ক্রুজার থেকে বেরিয়ে এসে আমাকে বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করে। 


তালিবানের সাংস্কৃতিক কমিশনের উপপ্রধান আহমাদুল্লা ওয়াসিকও হত্যার খবর খারিজ করে বলেন, ওকে (জাহির) হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। 


সাংবাদিক হেজবোল্লা রুহানি বলেন, এটি আফগান সাংবাদিকদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। আমরা ইসলামি সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে এই সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছি।