কাবুল: পঞ্জশিরে তালিবান রুখতে শক্তি বাড়াচ্ছে নর্দার্ন অ্যালায়েন্স। আফগানিস্তানের বানুতে নিহত ৩ তালিবান কমান্ডার। বানু প্রদেশের তালিবান প্রধান-সহ ৩ কমান্ডার নিহত বলে জানা গিয়েছে। 


আনদারাবের বিভিন্ন জায়গায় তালিবান-নর্দার্ন অ্যালায়েন্স সংঘর্ষ। ফাজির প্রদেশে ৫০জন তালিবান জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। ২০ জন জঙ্গিকে বন্দি করেছে প্রতিরোধ-বাহিনী। 


এখনও পর্যন্ত মেলা খবর অনুযায়ী, পঞ্জশিরে তালিবানের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে নর্দার্ন অ্যালায়েন্স। আনদারাবে দুপক্ষের সংঘর্ষে ৩০০-রও বেশি তালিবান জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে খবর। 


নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের প্রতিরোধে উড়ল তালিবানি কনভয়। দখল নিতে পঞ্জশিরের পথে দলে দলে তালিবানি জঙ্গিরা প্রবেশের চেষ্টা করে। 


নর্দার্ন অ্যালায়েন্স প্রতিরোধ বাহিনীকে নেতৃত্ব দেওয়া আহমেদ শাহ হুঁশিয়ারি দেন, তালিবানের কাছে মাথা নত করার প্রশ্ন নেই। তালিবানের তরফে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, আত্মসমর্পণ না করলে লড়াই। 


ইতিমধ্যেই বাগলান প্রদেশ তালিবানের দখলে চলে গিয়েছে, পঞ্জশির ঘিরে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করে ট্যুইট করে তালিবান মুখপাত্র। জঙ্গিগোষ্ঠীর তরফে দাবি করা হয়, উত্তর আফগানিস্তানের ৩টি জেলা -- বানো, দেহ সালেহ এবং পুল-ই-হেসার প্রদেশ পুনর্দখল করেছে তারা। 


এদিকে, তালিবান বিরোধী লড়াইয়ে এবার নর্দার্ন অ্যালায়েন্সে যোগ দিচ্ছেন সাধারণ নাগরিকরাও। আফগানিস্তানের স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ্ও তালিবানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ফলে, পঞ্জসির ও কাপিসায় প্রবল প্রতিরোধের সম্মুখীন জঙ্গিগোষ্ঠী। 


তালিবানের প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারির মধ্যেই অনড় নর্দার্ন অ্যালায়েন্স। তালিবান-বিরোধী বাহিনীকে উৎসাহ দিতে মাঠে নামলেন স্বঘোষিত আফগান প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালে। প্রকাশ্যে এল পঞ্জশিরে সালের ভলিবল খেলার ছবি। সালাং হাইওয়েতে তালিবানকে রুখে দেওয়ার দাবি আমরুল্লার।


এদিকে, কাবুল বিমানবন্দরে ফের গুলি চলার ঘটনা ঘটেছে। আফগান বাহিনীর সঙ্গে অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীদের গুলির লড়াই চলে। একজনের মৃত্যু হয়, আহত আরও ৩ জন। ত্রাসের দেশ আফগানিস্তান ছাড়তে আজও ভিড় জমেছে কাবুল বিমানবন্দরে। তার মধ্যেই গুলি চলার ঘটনা।


তালিবান-দখলে চলে যাওয়ার পর থেকেই আফগানিস্তান ছাড়তে মরিয়া হাজার হাজার মানুষ। কাবুল বিমানবন্দরের আশেপাশে মানুষের ভিড়। বিমানে ঠাঁই পাওয়ার জন্য প্রতিদিন চলছে হুড়োহুড়ি।


বিমানবন্দরের গেট খুলে দেওয়ার জন্য কাতর আবেদন জানাচ্ছেন বহু মানুষ। ভিড় সামলাতে নাজেহাল ন্যাটো বাহিনী, ব্রিটিশ ও মার্কিন সেনা। তবু এরই মধ্যে গেটের ওপারে দাঁড়িয়ে থাকা শিশু ও মহিলাদের হাতে তারা তুলে দিচ্ছে জলের বোতল।