কাবুল: ক্রমশ আফগানিস্তানের ওপর দখল বাড়াচ্ছে তালিবান। এই পরিস্থিতিতে কাবুল বিমানবন্দরে জঙ্গি হানার আশঙ্কায় চরম সতর্কতা জারি করল আমেরিকা, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া।


তালিবান আতঙ্কে দেশ ছাড়তে মরিয়া হাজার হাজার আফগান নাগরিক। কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে হাজার দশেক মানুষ দাঁড়িয়ে রয়েছেন। 


দূষিত জলের নালায় দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাতে নথি নিয়ে অপেক্ষা করছেন তাঁরা। এরই মধ্যে আফগান নাগরিকদের দেশ ছাড়া নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি। 


মুখে ৩১ অগাস্টের পরেও আফগানরা দেশ ছাড়তে পারবেন বললেও, অনেকক্ষেত্রেই দেশ না ছাড়তে ফতোয়াও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। কাবুল বিমানবন্দরমুখী সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 


পরিস্থিতি আঁচ করে মার্কিন নাগরিকদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছে আমেরিকা। কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিভিন্ন গেটে অপেক্ষারত মার্কিন নাগরিকদের অবিলম্বে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কাবুলের মার্কিন দূতাবাস।


কাবুল জুড়ে চরম বিশৃঙ্খলা। তালিবান-ত্রস্ত কাবুলে বিপন্ন আফগানরা। ১০ দিন ব্যাঙ্ক খোলেনি। বন্ধ ব্যাঙ্কের বাইরে লম্বা লাইন। কাবুলে বসবাসকারী ৬০ লক্ষ মানুষের দিন কাটছে দুর্দশায়। আতঙ্ক বাড়িয়ে শহরের যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে সশস্ত্র তালিবান। 


কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে এখনও তুমুল ভিড়। কান্দাহারে পাক-আফগান সীমান্তের স্পিন বলডাক এলাকায় বিশৃঙ্খলা। দেশ ছেড়ে পাকিস্তানে আশ্রয় নিতে ভিড় জমাচ্ছেন আফগানরা। 


বাগলান প্রদেশের আন্দারাবে ক্রমেই জোরাল হচ্ছে তালিবান-বিরোধী প্রতিরোধ। সাঁজোয়া গাড়ি নিয়ে এলাকায় টহল দিচ্ছে নর্দার্ন অ্যালায়েন্স। এই এলাকাতেই তালিবানের সঙ্গে জোর টক্কর অ্যালায়েন্সের।


৩১ অগাস্টের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হবে বলে গতকালই জি-৭ বৈঠকে জানিয়েছেন জো বাইডেন। পাশাপাশি, মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, এরপরেও কেউ আফগানিস্তান ছাড়তে চাইলে তাদের অনুমতি দিক তালিবান।


এর আগে তালিবান হুমকি দেয়, ৩১ অগাস্টের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার না করলে আমেরিকাকে তার ফল ভুগতে হবে। যদিও জি-৭ বৈঠকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিতে সেখান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের কোনও প্রশ্নই নেই।