কাবুল : মাথা নেড়া, আতঙ্কিত দৃষ্টি। যেন কারও শিকার হয়েছেন ! কাবুলের হাসপাতালে মাদকাসক্তদের এই ছবি অবাক করে। কার্যত অন্য ছবি ধরা পড়ল আফগানিস্তানের রাজধানীতে।


গত ১৫ অগাস্ট কাবুলের দখল নেয় তালিবানরা। তার আগে পর্যন্ত দেশের রাজধানী শহরে পুলিশ মাঝেমধ্যে মাদকাসক্তদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাত। কখনও সখনও তাঁদের গ্রেফতার করে কোনও কেন্দ্রে পাঠাত। কিন্তু, তালিবানরা ক্ষমতা দখলের পর এই তল্লাশি অভিযান বেড়ে গেছে। 


শতাধিক মাদকাসক্ত পশ্চিম কাবুলের পুল-এ-শুক্তায় একটি সেতুর নিচে আশ্রয় নেয়। সঙ্গে চলে জোরাল মাদক সেবন ও হিংস্র অপরাধ। এই রকমই একটি জায়গায় গত ১৬ অক্টোবর অভিযান চালায় তালিবানরা।  রিহ্যাব ক্লিনিকের অ্যাম্বুলেন্স দেখে বিষয়টি বুঝতে পেরে যায় মাদকসক্তরা। তাঁদের মধ্যে যাঁদের অল্পবিস্তর ক্ষমতা ছিল তাড়া এদিক ওদিক পালাতে শুরু করেন।


আরও পড়ুন ; আফগানিস্তানে প্রকাশ্যে চারজনকে হত্যা করে ক্রেনে দেহ ঝুলিয়ে দিল তালিবান


এই অভিযানের একাধিক ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। তার একটিতে দেখা যাচ্ছে, ড্রাগ আসক্তরা (মাদকাসক্ত) দৌড়চ্ছে। তালিবানিরা তাদের ধরার চেষ্টা করে। তাদের ধরে কাবুলের অ্যাভিসেন্না মেডিক্যাল হসপিটালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।


আরও পড়ুন ; আফগানিস্তান নিয়ে মোদি-বাইডেন আলোচনার পর তালিবানদের স্পষ্ট বার্তা ভারত-আমেরিকার


অপর একটি ছবিতে দেখা যায়, সেতুর নিচ থেকে এক মাদকাসক্তকে পাকড়াও করেছে এক তালিবান । কাবুলের এই সেতুর তলায় জড়ো হয় শতাধিক নেশাখোর । এমনকী অ্যাভিসেন্না মেডিক্যাল হসপিটালের ডিট্ক্সিফিকেশন ওয়ার্ডে মাদকাসক্তের মাথার চুল কাটা অবস্থায়ও দেখা যায়।


প্রসঙ্গত, অগাস্টের ১৫ তারিখে কাবুলের দখল নেয় তালিবানরা। এর পর ৩৩ সদস্যের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রিসভা গঠন করে তারা। যাতে কোনও মহিলা নেই। অথচ রয়েছে রাষ্ট্রসংঘের তকমাপ্রাপ্ত একাধিক জঙ্গি। এর আগে তালিবানরা ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান শাসন করেছিল।