কলকাতা: সারা বিশ্বে অনেক মানুষেরই নীল চোখের মণি নিয়ে একটা ফ্যান্টাসি আছে। অনেকে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর চেষ্টা করেন নীল কনট্যাক্ট লেন্স পরে। আবার নিজে থেকে স্বাভাবিকভাবেই নীল চোখ নিয়ে জন্মানো মানুষ গর্ববোধ করেন এমন বিরল বস্তু শরীরে বহন করার জন্য। তবে সব মানুষই যে এভাবে ভাবেন তা কিন্তু নয়। এমনও অনেকে আছেন যাঁরা নবজাতকের চোখের মণি নীল দেখলে সেটাকে কলঙ্ক বলে মনে করেন। ভাবেন কোনও ত্রুটি নিয়ে জন্মেছে সন্তান। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে নাইজেরিয়ায়।

রিশিকাত নামে এক মহিলা নীল চোখের অধিকারী। বিয়ের পর তাঁর যে সন্তানরা জন্মেছে তাদেরও চোখ নীল। এই নীল চোখের মণিকে অশুভ, অস্বাভাবিক বলে মনে করে স্ত্রী ও সন্তানদের ত্যাগ করে চলে গিয়েছেন রিশিকাতের স্বামী আবদুল্লাইসু ওমো ডাডা। রিশিকাত অত্যন্ত সমস্যায় পড়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তিনি নিজের সন্তানদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চোখ দেখিয়েছেন। চিকিৎকরা জানিয়েছেন, কোনও জিনগত কারণে চোখের মণি নীল। মায়ের থেকেই সন্তানরা এই নীল চোখ পেয়েছে। কিন্ত এর মধ্যে কোনও অসুস্থতার কিছুই নেই। সন্তানদের চোখ ঠিক আছে তো বটেই, শারীরিকভাবেও তারা সুস্থ এবং আর পাঁচজনের মতো স্বাভাবিক। কিন্তু চিকিৎসকদের এই বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যাখ্যাকে তেমন আমল দেননি রিশিকাতের স্বামী।নীল চোখের সন্তানদের সঙ্গে তিনি এক বাড়িতে থাকতে রাজি নন। রিশিকাত জানিয়েছেন প্রথম থেকেই সন্তানদের সঙ্গে বাড়িতেও স্নেহ ভালোবাসা প্রদর্শন করেননি তাঁর স্বামী।শেষটায় ছেড়েই যান। দুটি যমজ মেয়ের মধ্যে একজন পাঁচ বছরে পড়ল, আর অন্যজন অবহেলায় সম্প্রতি মারা গিয়েছে।

রিশিকাতের ঘটনাটি কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন লাগোসের এক কলেজের পড়ুয়া যাঁর নাম আলাবি রুকায়ৎ ঔন্দামোলা। তারপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে সাড়া পড়ে।কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমীক্ষায় হালে দেখা গিয়েছে যে কৃষ্ণসাগরের উত্তর-পূর্বে এক জিনগত পরিবর্তনের ফলেই নাইজিরিয়ার কিছু অংশে নীল চোখ পেয়েছেন মানুষ।