ঢাকা: বাংলাদেশে ব্লগার তথা আইনের ছাত্র, নাজিমুদ্দিন সামাদ খুনের দায় নিল আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক থাকা নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়া কট্টরপন্থী ইসলামিক গোষ্ঠী। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের ওপর নজরদজারি চালানো আমেরিকার সাইট ইনটেলিজেন্স সংস্থা নামে সংগঠনটি জানিয়েছে, ভারতীয় উপমহাদেশে আল কায়েদা-র বাংলাদেশি ইউনিট আনসার আল-ইসলাম গতকাল অনলাইনে এক বিবৃতিতে ২৮ বছরের ওই পডু়য়াকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে।


বাংলাদেশে একের পর এক ধর্মনিরপেক্ষ, মুক্তমনা ব্লগারের  ওপর হামলা ঘটে চলেছে। তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন হলেন সামাদ। তাঁকে মাস্কেটধারী হামলাকারীরা কাছ থেকে গুলি করার আগে কোপায়। মারা যান ধর্মীয় উগ্রতার বিরুদ্ধে লেখালেখি করা সামাদ।

সাইট জানিয়েছে, আনসার আল-ইসলামের  মুখপাত্র আবদুল্লা আশরফ এক  বিবৃতিতে বলেছে, এ দেশের ধর্মদ্রোহীদের উচিত শিক্ষা দিতেই এই অপারেশন চালানো হয়েছে। তথাকথিত বাকস্বাধীনতার  নামে ওদের বিষাক্ত জিহ্বা লাগাতার আল্লাহ, ইসলামের অবমাননা করেই চলেছে।

যদিও বাংলাদেশ সরকার তাদের দেশের মাটিতে আল কায়েদার অস্তিত্ব মানতে নারাজ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব আবু হেনা-র দাবি, আমাদের তদন্তে বাংলাদেশে কোনও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর উপস্থিতির প্রমাণ মেলেনি।

এদিকে বিডি নিউজ ২৪ ডট কম-এর এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, তাঁকে হত্যার চেষ্টা হতে পারে, এ ব্যাপারে অবহিত ছিলেন সামাদ। তিনি খুনের হুমকি পাচ্ছিলেন। সিলেটের বাণীবাজার এলাকায় গোপন ডেরায় গা ঢাকা দেন।  ১৫ দিন আগে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি নিষ্ক্রিয় করে দেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঘাতকদের এড়াতে পারেননি।