প্রসঙ্গত, গত বুধবার কানসাসের ওলাঠে ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার শ্রীনিবাস কুচিভোটলাকে গুলি করে হত্যা করে মার্কিন নাগরিক অ্যাডাম পুরিনটন। ওই ঘটনায় আরও দুই ব্যক্তি গুরুতর জখম হন। তাঁদের মধ্যে একজন ভারতীয় নাগরিক এবং অপরজন মার্কিন নাগরিক ছিলেন।
ট্রাম্প মার্কিন কংগ্রেসে আজকের ভাষণ শুরু করেন ফের ‘বাই আমেরিকান, হায়ার আমেরিকান’ নীতির কথা মনে করিয়ে দিয়ে। তাঁর সঙ্গে তিনি আরও বলেন, সময় এসে গেছে ‘ওবামাকেয়ার’কে সরিয়ে দেওয়ার। এছাড়া ফের জঙ্গি সংঘঠন আইএসআইএসকে একহাত নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি বিশ্বের সমস্ত মুসলিম জনসাধারণের সমর্থন নিয়েই এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে শেষ করতে বদ্ধপরিকর। কারণ আইএস-রা মুসলিম থেকে শুরু করে খ্রিস্টান, সবধর্মের মানুষকেই হত্যা করছে। আর এই চরমপন্থী জঙ্গি সংগঠনগুলোর নিশানা থেকে নিজের দেশকে রক্ষা করতে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মার্কিন মুলুককে এই জঙ্গি নিশানা থেকে মুক্ত করতে, দেশের দক্ষিণ সীমান্তে খুব শীঘ্রই প্রাচীর তৈরির কাজ শুরু করবেন তাঁর সরকার, সেকথাও ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট। কারণ ট্রাম্প মনে করেন, মার্কিন মুলুকের সমস্ত সীমান্ত অন্য দেশের নাগরিকদের জন্যে অবাধ হওয়ায়, উদ্বাস্তু, শরণার্থী বেশে এখানে জঙ্গিরা ঢুকে পড়েছে। অথচ, এই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্বের অন্য দেশকে তাঁদের সীমান্ত রক্ষার্থে সাহায্য করছে। এই সমস্ত কিছুকেই আমুল বদলে দেবে তাঁর সরকার।
এছাড়া দেশের সার্বিক উন্নতির জন্যে, শ্রমিকদের মাসিক বেতন বাড়িয়ে, বেকার সমস্যা সমাধানে তত্পর হবে তাঁর সরকার বলেও জানান ট্রাম্প। মহিলাদের উন্নয়নের লক্ষ্যে, তাঁদের ব্যবসায় আগ্রহ বাড়াতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডিউয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মার্কিন প্রশাসন একটি কাউন্সিল গঠন করছেন বলেও জানান ট্রাম্প। অতীতের সমস্ত ভুল মুছে দিয়ে এক নিরাপদ, বেকারহীন, সুন্দর আমেরিকা মার্কিন নাগরিকদের উপহার দেবেন তিনি। তাঁর কাছে সেদেশের নাগরিকদের গুরুত্বই সবার আগে। তাই মার্কিন নাগরিকদের সম্প্রতি ঝিমিয়ে পড়া স্পিরিটকে ফের জাগিয়ে তুলতে তাঁর সরকার যে বিশেষভাবে উদ্যোগী সেকথাই মার্কিন কংগ্রেসে যৌথ অভিবেশনে বুঝিয়ে দিলেন ট্রাম্প।