প্যারিস: ওমিক্রন (Omicron) ঝড়ে কাবু ফ্রান্স (France)। প্রতিদিনই হু হু করে ওমিক্রন বেড়ে চলেছে ফ্রান্সে। এই প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং নতুন কোভিড সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে একটি ভিডিও-কনফারেন্স বৈঠকে বসতে চলেছেন রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং তাঁর সরকারের সদস্যরা। তার আগেই জনস্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ পরিসংখ্যান প্রকাশিত হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সেই দেশে। 


ফ্রান্সের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা ওমিক্রন প্রজাতির দ্রুত বিস্তারের প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে। শুক্রবার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তৃপক্ষ প্রাপ্তবয়স্কদের প্রাথমিক টিকা দেওয়ার তিন মাস পরে একটি বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথাও বলেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ফ্রান্সে ১ লক্ষ মানুষ ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন। অতিমারীর গোটা পর্যায়ে এই প্রথম একদিনে লক্ষাধিক মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছে ফ্রান্সে। 


শুধু তাই নয় হেলথ পাস আনা হচ্ছে। যা দিয়ে ক্যাফে, রেস্তোরাঁ এবং পাবলিক স্পেসগুলিতে যাতায়াত করতে হবে। এমনকী আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রেও এই পাস ব্যবহার করতে হবে বলে জানান হয়েছে। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে করোনা প্রকোপ কিছুটা কম হওয়ায় শিথিল করা হয়েছিল নিয়ম বিধি। তবে ফের সেই সময় নিয়ম নতুন করে লাগু করছে সে দেশের সরকার। মাস্ক বিধিও আরও কঠোর করা হচ্ছে বলে খবর।  


ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভিয়ার ভেরান বলেছেন, ওমিক্রন স্ট্রেন বছরের শেষে ফ্রান্সে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছিল। কিন্তু কোভিড বিধি কঠোর করায় তা কিছুটা হলেও থামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কোভিড আক্রান্ত হয়ে ফ্রান্সে বর্তমানে ১৬ হাজারের বেশি কোভিড রোগী ভর্তি রয়েছে। ৩৩০০ জন রয়েছে আইসিইউতে। এখনও পর্যন্ত করোনা কোপে মোট ১ লক্ষ ২২ হাজার ৫৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ফ্রান্সে।


আরও পড়ুন, মহুয়া মৈত্রের 'কথা শুনলেন' মোদি? খুশি তৃণমূল নেত্রী


এদিকে, সময় যত এগোচ্ছে ততই দাপট বাড়ছে ওমিক্রন (Omicron)। এক থেকে একশো পেরিয়ে আজ দেশে শতাধিক রোগী ওমিক্রনে আক্রান্ত। ক্রমশ বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যাও। এই আবহে দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) চিকিৎসক যিনি সর্বপ্রথম ওমিক্রন প্রজাতি শনাক্ত করেছিলেন সেই অ্যাঞ্জেলিক কোয়েৎজি (Angelique Coetzee) জানান যে দক্ষিণ আফ্রিকার মত ভারতকেও হয়ত আগামী দিনে ওমিক্রন ঝড় দেখতে হতে পারে।


দক্ষিণ আফ্রিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারপার্সন বলেছেন যে প্রবল দাপট না দেখলেও রেশ পোহাতে হবে ভারতকে। তবে টিকা অবশ্যই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করবে তবে যাদের টিকা দেওয়া হয়নি, তাদের ১০০ শতাংশ "ঝুঁকি" রয়েছে ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে কোয়েৎজি বলেছেন, "ভ্যাকসিনগুলি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার কমাতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে। তাই টিকা ডোজ সম্পূর্ণ করা জরুরি।"