ওয়াশিংটন : পেগাসাস-বিতর্কের জের। এবার এই স্পাইওয়্যার প্রস্তুতকারী ইজরায়েলি সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল অ্যাপল (Apple)। মঙ্গলবার মামলা দায়ের করে ওই সংস্থা NSO গ্রুপকে তাদের ১০ কোটি আইফোন ব্যবহারকারীকে টার্গেট করা রুখতে ব্লক করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে সংস্থার তরফে। 


ক্যালিফোর্নিয়ার মার্কিন ফেডারেল আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে সংস্থার তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "তার ব্যবহারকারীদের আরও অপব্যবহার এবং ক্ষতি রোধ করতে অ্যাপল এনএসও গ্রুপকে কোনও সফ্টওয়্যার, পরিষেবা বা ডিভাইস ব্যবহার থেকে নিষিদ্ধ করার জন্য স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চাইছে।" 


মামলার বক্তব্যে আইফোন নির্মাতা সংস্থার তরফে আরও লেখা হয়েছে, অভিযুক্ত এই সংস্থা কুখ্যাত হ্যাকার। একবিংশ শতাব্দীর অনৈতিক কার্য সম্পাদনকারী, যারা অত্যন্ত উন্নতমানের সাইবার নজরদারি যন্ত্রপাতি তৈরি করেছে। যা অপব্যবহারের ইন্ধন জোগায়।


গত জুলাই মাসে ইজরায়েলি স্পাইওয়ার পেগাসাস ঘিরে হইচই শুরু হয় বিশ্বজুড়ে। দ্য গার্ডিয়ান দাবি করে, ভারতের মতো সারা বিশ্বের ১৮০ জনের বেশি সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, শিল্পপতি, ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের ফোন হ্যাক করা হয়েছে পেগাসাসের মাধ্যমে। দ্য ওয়ারের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, হ্যাকারদের নিশানায় ছিলেন রাহুল গান্ধী থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বিরোধী নেতা।


২৭ অক্টোবর, পেগাসাসকাণ্ডের তদন্তে, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে সর্বোচ্চ আদালত। এই প্রেক্ষাপটে পেগাসাস প্রস্তুতকারী সংস্থা NSO-কে কালো তালিকাভুক্ত করে আমেরিকা। মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, মানবাধিকারের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জো বাইডেন প্রশাসন। এবার পদক্ষেপ অ্যাপলের।


তবে, অ্যাপলই প্রথম কোনও বড় প্রযুক্তি সংস্থা নয়, যারা এনএসও (NSO) গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল। এর আগে ২০১৯ সালে এই সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল ফেসবুক। তাদের তরফে সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী এবং অন্যদের ওপর সাইবার গুপ্তচরবৃত্তি পরিচালনার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জার ব্যবহার করার অভিযোগ তোলা হয়েছিল।