কিভ: ফের ইউক্রেনের (ukraine) জনবসতি এলাকায় হামলার অভিযোগ উঠল রাশিয়ার (russia) বিরুদ্ধে। পূর্ব ইউক্রেনের একটি শহরে লাগাতার গোলাবর্ষণ (shelling) রাশিয়ার সেনার। হামলার কারণেই অন্তত ২১ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু (death) হয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনের (ukraine) স্থানীয় প্রশাসনের।


এর আগে খারকিভ (kharkhix), কিভ (kyiv) এবং মারিউপোলেও লাগাতার হামলা চালিয়েছিল রাশিয়ার সেনা। সেখানেও মৃত্যু হয়েছিল বিপুল  সংখ্যায় সাধারণ নাগরিকের। 


বারবার বৈঠকের পরেও মিলছে না সমাধান। থামছে না রাশিয়া (russia) ও ইউক্রেনের লড়াই। সেনার মৃত্যু তো হয়েছেই, তার সঙ্গেই মৃ্ত্যু হয়েছে একাধিক সাধারণ নাগরিকেরও। সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু নিয়ে বারবার সরব হয়েছে ইউক্রেন। লাগাতার সমালোচনা এসেছে আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকেও। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন প্রশ্ন তুলেছে। ইউক্রেনের সাধারণ নাগরিকদের পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন পোপ ফ্রান্সিসও। তারপরেও কমছে না হামলা।


থিয়েটার হলেও লাগাতার গোলাবর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। ইউক্রেনের বিদেশ মন্ত্রালয়ের দাবি,  মারিউপোলের একটি থিয়েটার হলে অবিরাম গোলাবর্ষণ করেছে রাশিয়ার সেনা। রুশ হামলার হাত থেকে বাঁচতে ওই থিয়েটার হলে আশ্রয় নিয়েছিলেন হাজারখানেক মানুষ। ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষের চাপা পড়েছেন। বেশ কয়েকজন মারা গিয়েছেন বলে আশঙ্কা। মারিউপোলের একটি সুইমিং পুলেও গোলাবর্ষণ হয়। শিশুদের নিয়ে মহিলারা সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। খারকিভে ফুড ডিপোয় রুশ গোলায় আগুন ধরে যায়। রাশিয়া যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে। রাশিয়ার দাবি, যুদ্ধে কোনও সাধারণ নাগরিককে লক্ষ্য করে হামলা করা হচ্ছে না।


রাশিয়াকে ইউক্রেনে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সামরিক তৎপরতা বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস (ICJ)। অথচ যুদ্ধ থামবার নাম নেই। একদিকে যুদ্ধ চলছে, অন্যদিকে বাড়ছে মৃত্যুমিছিল।


আরও পড়ুন: প্রত্যাঘাতে ক্ষতবিক্ষত রাশিয়া! নিহত ১৪০০০ রুশ সেনা, ধূলিসাৎ ৪৫০ ট্যাঙ্ক, ৮৬ বিমান, ১০৮ কপ্টার: ইউক্রেন