কিভ: তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। অস্ত্রের ভান্ডার হোক বা সেনাবাহিনীর আয়তন। সবদিক থেকেই ইউক্রেনের তুলনায় ধারেভারে অনেক এগিয়ে ছিল রাশিয়া। কিন্তু সীমিত শক্তি নিয়েই টানা এতদিন ধরে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে রাশিয়ান বাহিনীকে। তার জন্য অবদান রয়েছে আমেরিকা ও অন্য ইউরোপীয় দেশের। কারণ যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই টানা ইউক্রেনকে সাহায্য করে এসেছে দেশগুলি। টাকা থেকে ভারী সমরাস্ত্র, জোগানো হয়েছে সবকিছুই। গত এক সপ্তাহে আমেরিকার তরফে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সাহায্য করা হয়েছে ইউক্রেনকে (ukraine)। তবে যুদ্ধ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অবদান রয়েছে আরও একটি অস্ত্রের। আলোচনায় তুলনামূলকভাবে কম উঠে এসেছে সেটি।


টার্কিশ ড্রোন (turkish-made drone)। রাশিয়াতে ঠেকিয়ে রাখতে ইউক্রেনকে সাহায্য করেছে তুরস্কের এই আধুনিক অস্ত্র Bayraktar TB2 unmanned aerial vehicles। এই ড্রোনটি বানিয়েছে Baykar defense company। যেটি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এর্দোগানের জামাইয়ের সংস্থা।
      
এই অস্ত্রটি আদতে কীরকম?
মানববিহীন বিমানজাতীয় অস্ত্র। তবে আয়তনে অনেকটাই ছোট। লেসার গাইডেড (laser guided) বোমা থাকে এই ড্রোনে। তুরস্কে তৈরি হয়েছে এই আধুনিক অস্ত্র। একাধিক দেশে বেচেছে তুরস্ক। এছাড়া, আজারবাইজান, লিবিয়া, মরক্কো এবং ইথিওপিয়ায় বেচা হয়েছে এই অস্ত্র।


সামরিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকে রাশিয়ার বাহিনীর বিরুদ্ধে ভালরকম সাফল্য পেয়েছিল এই অস্ত্র। যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তৈরি করার আগে পর্যন্ত সাফল্য মিলেছিল ইউক্রেনের। 


কিছু সমস্যাও রয়েছে এই অস্ত্রের
মাঝারি উচ্চতায় ওড়ে অস্ত্রটি। গতিও খুব বেশি নয়। ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ছাপ রয়েছে। এছাড়া রাডারেও সহজেই ধরা পড়ে এই ড্রোন। রাশিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অত্যন্ত আধুনিক হওয়ায়, পরের দিকে তেমন একটা সুবিধে মিলছে না এই অস্ত্রে। তবে অনেক নীচু দিয়ে উড়িয়ে এখনও কাজে আসছে এই ড্রোন।


২০১৯ সালে তুরস্কের থেকে এই ড্রোন (drone) কিনেছিল ইউক্রেন। ডনবাস এলাকায় রাশিয়াপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে লড়াইয়ে এই অস্ত্র ব্যবহার করেছিল ইউক্রেন।  


আরও পড়ুন: 'পুতিন যুদ্ধাপরাধী' বললেন বাইডেন