ঢাকা: বাংলাদেশের বুড়িগঙ্গায় ফেরি ও ভেসেলের ধাক্কা! ডুবে গিয়ে এখনও পর্যন্ত মৃত অন্তত ৩২। ফেরিতে ১০০-র বেশি যাত্রী ছিল বলে সূত্রের খবর।
বাংলাদেশ স্থলভাগ জলভাগ পরিবহণ বিভাগ(বিআইডব্লুটিএ) জানিয়েছে, 'ফেরি ও ভেসেল উভয়ের চালকের অবহেলার কারণেই এই দুর্ঘটনার ঘটেছে।' পুরনো ঢাকার শ্যামবাজার এলাকার বুড়িগঙ্গায় সকাল ৯.৩০ নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। মুন্সিগঞ্জ থেকে আসা 'মর্নিং বার্ড' নামক ফেরির সঙ্গে 'ময়ূর-২'নামে একটি ভেসেলের সাদারঘাট লঞ্চ টার্মিনালে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে।
বিআইডব্লুটিএ-র তরফে জানানো হয়েছে, এখনও অবধি ৩২টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিঁখোজ যাত্রীদের খোঁজ চলছে। সূত্রের খবর, মৃতদের মধ্যে ৫ জন মহিলা ও ২টি শিশু রয়েছে। 'ময়ূর-২'-তে প্রায় ১০০০ জন যাত্রী ছিলেন। ভেসেলের চালক এখনও পর্যন্ত পলাতক। তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
উদ্ধারকার্যে সামিল হয়েছেন জলপুলিশ,নেভি ও দমকলের কর্মীরা। প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানাচ্ছেন, 'মর্নিং বার্ড' ফেরিটিকে পিছন থেকে এসে ধাক্কা দেয় বড় ভেসেলটি। আহত যাত্রীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখনও অবধি নিঁখোজ যাত্রীদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা যায়নি। কাদাজল বেশি থাকার জন্য উদ্ধারকার্যে দেরি হচ্ছে বলে জানাচ্ছে দমকল।
বেশিরভাগ সময়ই ফেরিতে যাত্রীবহন ক্ষমতার অধিক যাত্রী তোলাকেই দুর্ঘটনার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। এর সঙ্গে রয়েছে চালকদের অসাবধানতাও।