দীপাবলি শুধু ভারতে নয়, সারা বিশ্বেই সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়ে থাকে। এই উপলক্ষ্যে সম্প্রতি এক ভিডিয়ো বার্তায় মরিসন বলেছেন, ’’বেশিরভাগ বছর আমরা প্রায়শই অন্ধকার দূর করার কথা ভাবি। আমরা যে অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে এসেছি বা যা পেরিয়ে এসেছি তার নিরিখে এটাই দীপাবলি তাত্ত্বিক ধারণা। কিন্তু এ বছর দীপাবলির বার্তার একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।‘‘
স্বাভাবিক ভাবে উঠে এসেছে করোনা প্রসঙ্গ। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ’’বিশ্বে্র প্রতিটি দেশ কোভিড ১৯-এর সঙ্গে লড়ছে।এই প্রজন্মের সবচেয়ে বড় ধাক্কা তাদের জীবন-জীবিকা হারিয়ে গিয়েছে। আতঙ্ক সত্ত্বেও গোটা বছর ধরে আমরা একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছি, অন্যকে উৎসাহিত বা অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করেছি।‘‘
তিনি জানিয়েছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী, সেনা, সাফাই কর্মী –সহ যারা করোনার সামনের সারির যোদ্ধা তাঁদের কাছ থেকে আমরা মনের জোর পেয়েছি। তাঁরা যতটা আন্তরিকভাবে এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে এই পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছেন সেটাই সকলকে অণুপ্রাণিত করেছে।
দীপাবলির আগে মানুষ যাতে অতিমারির দুশ্চিন্তায় ডুবে না থাকে, সেজন্য অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করেছেন মরিসন। তাঁর কথায়, ’’হ্যাঁ, এ বছর আমরা অন্ধকার দেখেছি। কিন্তু অন্ধকারকে কাটিয়ে ওঠার মতো আলো সামনে রয়েছে। সামনে আলো আছে, আশা আছে। আলোর উৎসব দীপাবলি উদযাপনের জন্য সকলকে উষ্ণ অভিনন্দন। ভিন্ন ধর্মালম্বীদের কাছে দীপাবলি এক বিশেষ মুহূর্ত।‘‘
অস্ট্রেলিয়ার শাসকদলের নেতা শুধু নন, বিরোধী নেতা অ্যানথনি আলবানিজ আশা প্রকাশ করেছেন যে আগামী বছর হয়তো সকলে মিলে দীপাবলি পালন করতে পারবে। তাঁর কথায়, ’’করোনা ভাইরাস বা অতিমারির বাস্তবতা আমাদের মানতেই হবে, কিন্তু এর মাঝেও দীপাবলি তার নিজের উৎকর্ষ নিয়ে রয়েছে প্রত্যেকের ঐতিহ্য, আধ্যাত্মিকতা, নিষ্ঠা ও বিশ্বাসের মধ্যে যা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।‘‘
অস্ট্রেলিয়া শাসক ও বিরোধী দলের নেতার এই বার্তা করোনা-কালে মানুষকে উৎসাহিত করবে বলেই নানান মহলের আশা। অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় সাত লক্ষ ভারতীয়ের বসবাস। গত বছরের পরিসংখ্যান বলছে, ২৮ হাজার ভারতীয় অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হয়েছেন।