ঢাকা: ২০১৫-র ৩ ফেব্রুয়ারি খালেদার দল বিএনপি ও জামাত জোটের প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলাকালে চট্টগ্রামে বাসে পেট্রল বোমা হামলায় ৮ জন নিহত হন। এ ঘটনায় হিংসা মামলায় গত ৬ আগস্ট খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই সিদ্ধান্ত বহাল রাখল বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট।
এ ব্যাপারে খালেদার বিরুদ্ধে হত্যা, লুঠপাটের অভিযোগে একটি ও বিস্ফোরক আইনে আরেকটি মামলা দায়ের হয় কুমিল্লায়। পরে সেই মামলা বিশেষ ক্ষমতা আইনে বদলে দেওয়া হয়।

জামিনের রায়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে সরকার পিটিশন দিয়েছিল। তবে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাপেলেট ডিভিশন হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখেছে বলে ঢাকা ট্রিবিউন-এর খবর। তাদের প্রতিবেদনে প্রকাশ, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের অ্যাপেলেট শাখা সরকারি পিটিশনের ওপর ‘নো অর্ডার’ রায় দেয়, অর্থাত জামিন বহাল রাখে।
তবে আরও নানা মামলা ঝুলে থাকায় জেলেই থাকতে হবে ৭২ বছর বয়সি তিনবারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে।
জিয়া অরফ্যানেজ ট্রাস্ট মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে দোষী ঘোষিত হওয়ায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকার ২০০ বছরের পুরানো জেলে রয়েছেন তিনি। তাঁর ৫ বছরের কারাবাস হয়েছে।
দুর্নীতির অভিযোগের জেরে ২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট করেন খালেদা। দেশজুড়ে প্রতিবাদে নামে প্রধান বিরোধী দল। তাদের দাবি, সেই নির্বাচন ছিল প্রহসনমাত্র। তাদের নেত্রীকে ডিসেম্বরে নির্ধারিত সাধারণ নির্বাচনের ময়দানের বাইরে রাখতেই তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।