চট্টগ্রাম : বাংলাদেশের (Bangladesh) চট্টগ্রামে কন্টেনার ডিপোতে মজুত রাসায়নিকে (Chemical) ভয়াবহ অগ্নি-বিপর্যয়। পরপর বিস্ফোরণে নিহত ৪৯ জন। প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকজন দমকল কর্মীও। অগ্নি-বিপর্যয়ে আহত তিনশোর বেশি। তবে, অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।


লেলিহান আগুন। পরপর কান ফাটানো বিস্ফোরণ। অগ্নিকুণ্ডে আটকে পড়াদের আর্ত চিৎকার। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা দেহাবশেষ। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলের প্রাণপণ চেষ্টা। বিভীষিকাময় এই দৃশ্য বাংলাদেশের সৈকত নগরী চট্টগ্রামের। শনিবার গভীর রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কন্টেনার ডিপোয় রাসায়নিক ভর্তি কন্টেনারে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ ৩০০ জনেরও বেশি। হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশই ওই কন্টেনার ডিপোর শ্রমিক।


বাংলাদেশের মূল সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রামের সোনাইছড়িতে এই কন্টেনার ডিপো, রাজধানী ঢাকা থেকে দূরত্ব ২১৬ কিলোমিটার। BM ইনল্যান্ড কন্টেনার ডিপোটি নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে তৈরি। বাংলাদেশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কন্টেনার ডিপোয় প্রচুর রাসায়নিক মজুত ছিল। প্রথম আগুন লাগে তেমনই একটি রাসায়নিক ভর্তি কন্টেনারে। তারপর শুরু হয় একের পর এক বিস্ফোরণ। বাংলাদেশ প্রশাসনের দাবি, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে ৪ কিলোমিটার দূরে বাড়িঘর পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। ভেঙে যায় জানালার কাচ। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলের পাশাপাশি নামানো হয় বাংলাদেশ সেনার বিশেষ প্রশিক্ষিত বাহিনীকে। অগ্নিদগ্ধদের উদ্ধার করে পাঠানো হয় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।


এই বিপর্যয়ে, কমপক্ষে ৫ জন দমকল কর্মী প্রাণ হারান বলে দাবি বাংলাদেশের দমকল এবং অসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের ডিজি, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মইনুদ্দিনের।


বাংলাদেশ প্রশাসনের প্রাথমিক অনুমান, রাসায়নিক ভর্তি কন্টেনারে আগুন লেগেই এই বিরাট বিপর্যয়! তবে কী ধরনের রাসায়নিক সেখানে মজুত ছিল? কেন আগুন লাগল? নেপথ্যে সন্ত্রাসের কোনও অভিসন্ধি নেই তো ? এই সমস্ত প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বাংলাদেশের অগ্নি বিপর্যয়ে। অগ্নি-বিপর্যয়ের ঘটনায় শোকবার্তা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 


এর আগে ২০২১-র জুলাইয়ে ঢাকার কাছে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২০-র ফেব্রুয়ারিতে ঢাকাতেই আবাসনে অগ্নিকাণ্ডে মারা যান ৭০ জন।