ঢাকা: ইলিশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে ২৭টি জেলায় ২২ দিনের জন্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল বাংলাদেশ প্রশাসন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসনের ঘোষণা অনুযায়ী, ইলিশের সংখ্যা রক্ষা করতে ৭৬টি উপজেলায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

এর ক্ষতিপূরণ হিসেবে মৎস্যজীবীদের পরিবারকে ত্রাণ ও বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রকের তরফে যথাক্রমে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।

বাংলাদেশের সংবাদসংস্থার দাবি, ইলিশের প্রজণন অঞ্চলের প্রায় ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

পাশাপাশি, দেশজুড়ে এই রুপোলি মাছ ধরা, কেনাবেচা, স্থানান্তকরণ এবং জমা রাখাও চলবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার ফলে মুন্সিগঞ্জ, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর এবং বরিশালের মধ্যে দিয়ে বহমান পদ্মা-মেঘনা নদীতে জাল পাততে পারবেন না মৎস্যজীবীরা।

নিষেধাজ্ঞা যাতে ঠিকমত কার্যকর হয়, তার জন্য উপকূলবর্তী এলাকায় বিশেষ বাহিনী এবং নৌ-পুলিশের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, এর আগে গত ২ বছর ধরে ইলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য এই পন্থা ব্যবহার করছে হাসিনা প্রশাসন।

জানা গিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যদি কারও বিরুদ্ধে ইলিশ ধরার অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে পাঁচ থেকে ১০ হাজার বাংলাদেশি টাকা জরিমানা হতে পারে।

একইসঙ্গে, মাছ ধরার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত হতে পারে। এমনকী, ২ বছর পর্যন্ত কারাবাস হতেও পারে বলে জানানো হয়েছে।

এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, প্রতিবছর আশ্বিন মাসের প্রথম পূর্ণিমার সময় ডিম পাড়তে উপকূল থেকে পদ্মা ও মেঘনায় প্রবেশ করে ইলিশের ঝাঁক।