ঢাকা: বাংলাদেশের (Bangladesh) জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারের (Coxbazar) উখিয়ার রোহিঙ্গা (Rohinga) ক্যাম্পের পাহাড়ে উদ্ধার হল অস্ত্র কারখানা। শুধু তাই নয়, অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়ে অভিযান চালায় র্যাব-১৫। সেখান থেকে বিপুল সংখ্যক অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। ৮ নভেম্বর ভোররাতে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এর ওই এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব (RAB)। সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র।
র্যাবের এক অফিসার সংবাদসংস্থাকে বলেন, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশন সংলগ্ন পাহাড়ে অস্ত্র তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছে বলে খবর আসে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে র্যাবের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। যদিও র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়।
আরও পড়ুন, নোয়াখালিতে হিংসার ঘটনায় গ্রেফতার আরও ৪
এও জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল ৭টা পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী গুলি বিনিময় হয়। র্যাব-১৫ এর ক্যাপ্টেন লে. কর্নেল খায়েরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র এ কারখানা তৈরি করে অস্ত্র বানিয়ে আসছিল। এখান থেকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্র সরবারহ করা হচ্ছিল। এমন তথ্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে কারখানাটি শনাক্ত করা হয়।
এই ঘটনায় অনেককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। কুতুপালং ক্যাম্প সি-১ জি ব্লকের মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে বাইতুল্লাহ (১৯), তার ভাই হাবিব উল্লাহ (৩২) ও একই ক্যাম্পের জি ব্লকের জাহিদ হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ হাছুন (২৪)কে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সন্ত্রাসীদের তৎপরতা ঠেকাতে কাজ করে র্যাবের সদস্যরা। আটকদের পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা শেষে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান হয়ে র্যাবের তরফেই। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকায় সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে। মাদক ব্যবসা, লুটপাটসহ নানা অপরাধের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।