নোয়াখালি, (বাংলাদেশ) : নোয়াখালিতে হিংসার (Noakhali Violence) ঘটনায় আরও ৪ জন গ্রেফতার। নোয়াখালির বেগমগঞ্জে দুর্গাপুজোর সময় পুজো প্যান্ডেলে ও মন্দিরে আক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছিল। যে ঘটনার তদন্তে নেমে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (RAB) তথা র্যাব আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এমনটাই খবর ঢাকা ট্রিবিউনের সূত্রে। জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া চারজনের নাম যথাক্রমে- মহম্মদ মনীর হোসেন তথা রুবেল (২৮), জাকের হুসেন তথা রবি (২০), মহম্মদ রিপন (২১) ও মহম্মদ নজরুল ইসলাম তথা সোহাগ (৩৬)।
পুজো প্যান্ডেল ও মন্দিরে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল সেই এলাকার বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হিংসার পাশাপাশি সেই এলাকা থেকে বিভিন্ন সামগ্রীও চুরি করতে দেখা গিয়েছে এই চারজনকে। ব্রোঞ্জের মূর্তি, বাতিদানি, বাসনপত্র, ঠাকুরের গহনার মতো বিভিন্ন জিনিস যে তারা হাতিয়ে নিচ্ছে, সে প্রমাণ স্পষ্ট মিলেছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে। র্যাবের তরফে আরও জানানো হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন উস্কানিমূলক পোস্ট থেকে শুরু করে হিংসা ছড়ানোয় প্রত্যক্ষ ভূমিকা, একাধিক তথ্যপ্রমাণ থাকার ভিত্তিতেই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সম্প্রতি দুর্গাপুজোর সময় বাংলাদেশের (Bangladesh) বিভিন্ন জায়গায় হিংসার ঘটনা সামনে আসে। একাধিক জায়গায় সংখ্যালঘু হিন্দুদের মন্দির থেকে শুরু করে দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। যে ঘটনার পরই প্রতিবাদের ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। প্রত্যেকে যার যার নিজস্ব ধর্ম, স্বাধীনভাবে আনন্দের সঙ্গে পালন করবেন বাংলাদেশে। কিছু দুষ্টচক্র দেশের এই নীতিকে নষ্ট করার চক্রান্ত করে। শক্ত হাতে সরকার তা দমন করবে। যার পর থেকে শক্ত হাতে দুষ্কৃতীদের খোঁজ শুরু হয় বাংলাদেশ জুড়ে। ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই বাংলাদেশের হিংসার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন - গ্রেফতার বাংলাদেশের হিংসার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন