ঢাকা: ধেয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আমপান। এই পরিস্থিতি দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ২০ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনার নির্দেশ দিল বাংলাদেশ। সে দেশের সরকারি আধিকারিকরা বলেছেন, এই ঝড় খুবই আশঙ্কাজনক হতে চলেছে।
বাংলাদেশের বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রকের সচিব শাহ কামাল বলেছেন, যে এলাকাগুলিতে ঝড় বয়ে যেতে পারে, উপকূলবর্তী সেই ১৯ জেলার প্রশাসনগুলিকে মানুষেরর জীবনরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে ১৮ থেকে ২০ লক্ষ মানুষকে ১৩,০৭৮ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুপার টাইফুন বা ক্যাটেগরি ৪ অ্যাটলান্টিক হ্যারিকেনের সমান শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসছে আমপান।
সোমবার বিকেলে দক্ষিণ-পশ্চিমের বন্দর মোঙ্গলা ও পায়রার জন্য বাংলাদেশ আবহাওয়া বিভাগ ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত জারি করেছে।
বাকি দুই সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ছয় নম্বর বিপদ সঙ্গেত জারি করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ বলেছেন, বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকার দিকে সরাসরি ধেয়ে আসছে। এই ঝড়ের কারণে উভয় দেশেই ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রকের আধিকারিকরা বলেছেন, মঙ্গলবার লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযানে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী বুধবার বিকেল নাগাদ এই ঝড় আছড়ে পড়তে পারে। তার আগে এই অভিযান শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ঝড় স্থলভূমিতে প্রবেশের আগে দুর্বল হলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকছেই। তাঁরা তীব্র জলোচ্ছ্বাসেরও সতর্কবার্তা জারি করেছেন।
জানা গেছে যে, উপকূলবর্তী জেলাগুলির আধিকারিক ও স্বেচ্ছাসেবীরা ইতিমধ্যেই মাইকে ঘোষণার মাধ্যমে জনগনকে সতর্ক করছেন এবং তাঁদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ত্রাণ কেন্দ্রগুলিতে আশ্রয় নেওয়ার আর্জি জানানো হচ্ছে।