এ বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মহম্মদ জাকির হোসেন খান জানিয়েছেন, ‘সরকারের নির্দেশে আমরা মোবাইল ফোন সংস্থাগুলিকে ভারত সীমান্তে পরিষেবা বন্ধ রাখতে বলেছি। বাংলাদেশের সব মোবাইল ফোন সংস্থার কাছেই এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। দেশের নিরাপত্তা এবং বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত ভারত সীমান্তে নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকবে।’
বাংলাদেশের মোবাইল টেলিকম অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম ফারহাদ জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক সংস্থাগুলি সরকারের নির্দেশ মানতে বাধ্য। সীমান্ত অঞ্চলে পরিষেবা বন্ধ করার বিষয়ে সরকারের নির্দেশ পালন করা হয়েছে। এই নির্দেশের ফলে সীমান্ত অঞ্চলের মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। বহু মানুষ ভয়েস কল, ইন্টারনেট, এসএমএস সহ অন্যান্য পরিষেবা পাচ্ছেন না।’
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ৩২ জেলা ভারত ও মায়ানমার সীমান্তে। সেখানে মোবাইল ফোন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অন্তত কোটি মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। বাংলাদেশ সরকারের আশঙ্কা, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন জারি হওয়ার পর ভারত থেকে অনেক মুসলিমই বাংলাদেশে চলে যেতে পারেন। সেই কারণেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যদিও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক এই খবর অস্বীকার করেছেন।