সম্ভাব্য বৌদ্ধ উপজাতি-মুসলিম সংঘাত এড়াতে ১৫ হাজার রোহিঙ্গাকে পার্বত্য জেলা থেকে সরাচ্ছে বাংলাদেশ
Web Desk, ABP Ananda
Updated at:
01 Oct 2017 05:30 PM (IST)
NEXT
PREV
কক্সবাজার (বাংলাদেশ): মায়ানমারে সামরিক অভিযান থেকে বাঁচতে গত ৫ সপ্তাহে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা আনুমানিক ১০ লাখ রোহিঙ্গার অর্ধেকেরই জায়গা হয়েছে সরকারি জমিতে তৈরি ক্যাম্পে। তবে মায়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা পার্বত্য জেলা বাঁদরবনেও ঢুকেছে অন্তত ১৫ হাজার রোহিঙ্গা। বাঁদরবন হল সেই চট্টগ্রাম পার্বত্য এলাকার অংশ, যা স্থানীয় উপজাতিদের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে আট, নয়ের দশকে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। ওই উপজাতি সম্প্রদায়ের লোকজন মূলত বৌদ্ধ।
বাঁদরবনের সরকারি প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের উপস্থিতির ফলে ওখানকার মুসলিম ও সংখ্যালঘু উপজাতিদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ফের মাথাচাড়া দিতে পারে বলে প্রশাসনের আশঙ্কা। তাই সরকার ওই ১৫ হাজার রোহিঙ্গাকে মূল আশ্রয় শিবিরে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 'পার্বত্য জেলায় শান্তি সুনিশ্চিত করতে' আগামীকাল রোহিঙ্গাদের সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
১৯৯৭ সালে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, উপজাতি গোষ্ঠীগুলি বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে ইতি টানে। যদিও স্থানীয় মুসলিম ও উপজাতিদের সম্পর্কে চাপা উত্তেজনা থেকেই গিয়েছে। মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে যে রাখাইন বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে, তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এই উপজাতিদের।
গত বছরের মে মাসে ৭৫ বছরের এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী বাঁদরবনে খুন হন। এজন্য দায়ী করা হয় ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের। আবার চলতি বছরের জুনে স্থানীয় এক নেতার হত্যার জেরে উপজাতিদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয় মুসলিমরা।
প্রসঙ্গত, মায়ানমারে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছে বাংলাদেশ, যদিও তাদের সরকারি ভাবে উদ্বাস্তুর স্বীকৃতি দেয়নি। রোহিঙ্গারা অনির্দিষ্টকালের জন্য থেকে যাক, তা চায় না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে।
অস্থায়ী ক্যাম্পে গাদাগাদি করে থাকা রোহিঙ্গাদের গতিবিধির ওপর অনেক বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার, যেমন তারা খেয়াল খুশিমতো শিবির ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারবে না।
হাসিনা সরকার বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যবর্তী নো ম্যানস ল্যান্ডে আটকে পড়া প্রায় ১২ হাজার রোহিঙ্গাকেও সরিয়ে নিতে চায় বলেও জানিয়েছেন ওই সরকারি অফিসার।
কক্সবাজার (বাংলাদেশ): মায়ানমারে সামরিক অভিযান থেকে বাঁচতে গত ৫ সপ্তাহে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা আনুমানিক ১০ লাখ রোহিঙ্গার অর্ধেকেরই জায়গা হয়েছে সরকারি জমিতে তৈরি ক্যাম্পে। তবে মায়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা পার্বত্য জেলা বাঁদরবনেও ঢুকেছে অন্তত ১৫ হাজার রোহিঙ্গা। বাঁদরবন হল সেই চট্টগ্রাম পার্বত্য এলাকার অংশ, যা স্থানীয় উপজাতিদের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে আট, নয়ের দশকে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। ওই উপজাতি সম্প্রদায়ের লোকজন মূলত বৌদ্ধ।
বাঁদরবনের সরকারি প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের উপস্থিতির ফলে ওখানকার মুসলিম ও সংখ্যালঘু উপজাতিদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ফের মাথাচাড়া দিতে পারে বলে প্রশাসনের আশঙ্কা। তাই সরকার ওই ১৫ হাজার রোহিঙ্গাকে মূল আশ্রয় শিবিরে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 'পার্বত্য জেলায় শান্তি সুনিশ্চিত করতে' আগামীকাল রোহিঙ্গাদের সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
১৯৯৭ সালে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, উপজাতি গোষ্ঠীগুলি বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে ইতি টানে। যদিও স্থানীয় মুসলিম ও উপজাতিদের সম্পর্কে চাপা উত্তেজনা থেকেই গিয়েছে। মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে যে রাখাইন বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে, তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এই উপজাতিদের।
গত বছরের মে মাসে ৭৫ বছরের এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী বাঁদরবনে খুন হন। এজন্য দায়ী করা হয় ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের। আবার চলতি বছরের জুনে স্থানীয় এক নেতার হত্যার জেরে উপজাতিদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয় মুসলিমরা।
প্রসঙ্গত, মায়ানমারে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছে বাংলাদেশ, যদিও তাদের সরকারি ভাবে উদ্বাস্তুর স্বীকৃতি দেয়নি। রোহিঙ্গারা অনির্দিষ্টকালের জন্য থেকে যাক, তা চায় না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে।
অস্থায়ী ক্যাম্পে গাদাগাদি করে থাকা রোহিঙ্গাদের গতিবিধির ওপর অনেক বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার, যেমন তারা খেয়াল খুশিমতো শিবির ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারবে না।
হাসিনা সরকার বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যবর্তী নো ম্যানস ল্যান্ডে আটকে পড়া প্রায় ১২ হাজার রোহিঙ্গাকেও সরিয়ে নিতে চায় বলেও জানিয়েছেন ওই সরকারি অফিসার।
আন্তর্জাতিক (world) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -