ঢাকা : আরও অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। ছাত্র আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ছে ক্রমশ। বাংলাদেশে সংরক্ষণ বিরোধী বিক্ষোভে অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, বলে জানা গিয়েছে।  সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ছে ক্রমশই। পুলিশ এবং আওয়ামী লিগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে পড়ুয়াদের। ঢাকার রাস্তা যেন যুদ্ধক্ষেত্র। চোখের নিমেষে চলে যাচ্ছে একের পর এক প্রাণ। পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে, বাংলাদেশে থাকা ভারতীয়দের জন্য জরুরি অ্যাডভাইজারি জারি করেছে ভারতীয় হাই কমিশন। 


বাংলা দেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ১৮ জুলাই সন্ধে পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ–যুবলীগের সংঘর্ষ আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছে আরও মরদেহ । নিহতদের মধ্যে রয়েছেন এক সাংবাদিকও। তিনি ঢাকা টাইমস-এ কর্মরত ছিলেন। তাঁর নাম হাসান মেহেদী । তাঁর সারা গায়ে ছিল ছররা গুলির ক্ষত।


একাধিক জায়গায় আন্দোলনের আগুন দমাতে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশের পুলিশের বিরুদ্ধে। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও। দিকে দিকে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা অব্যাহত। রাজধানী ঢাকা সহ বেশিরভাগ বড় শহরই অচল, স্তব্ধ। জরুরি পরিষেবা ছাড়া আর সব কিছু বন্ধ।  পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে কড়া হাতে মোকাবিলা শুরু করেছে শেখ হাসিনা সরকার। নামানো হয়েছে সেনাবাহিনীকে। সমস্ত স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।