ঢাকা: বাংলাদেশে হামলা পূর্ব পরিকল্পিত, প্ররোচনামূলক। এমনই দাবি করলেন সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
হাসিনা সরকারের মন্ত্রীর দাবি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করাই ছিল হামলাকারীদের উদ্দেশ্য। এর নেপথ্যে কারও কায়েমি স্বার্থ রয়েছে বলে মনে করছে বাংলাদেশ প্রশাসন।
তাঁর আরও দাবি, এই হামলার নেপথ্যে কোনও তৃতীয় পক্ষের উস্কানি রয়েছে। হিংসার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত করার চেষ্টা চালানো হয়েছে। প্রমাণ পেলেই তা প্রকাশ্যে আনা হবে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অশান্তি, সীমান্তবর্তী জেলাগুলিকে সতর্ক করল রাজ্য আইবি
বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনায় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেইমতো চলছে পুলিশি ধরপাকড়।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, শুক্রবার বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনায় প্রায় ৪ হাজার জনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রুজু করেছে পল্টন, রমনা ও চকবাজার থানার পুলিশ। বহু অজ্ঞাত পরিচয়দের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে শতাধিক।
পুজোর মধ্যে বাংলাদেশে একাধিক জায়গায় দুষ্কৃতী হামলা ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ইসকনের অভিযোগ, নোয়াখালিতে আক্রান্ত হয় তাদের মন্দির ও দফতর। ৩ জন ভক্তের মৃত্যুর অভিযোগও করা হয়।
ইসকনের তরফে বাংলাদেশ সরকারের কাছে দ্রুত তদন্ত ও ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, সেই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। ঘটনায় দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাষ্ট্রপুঞ্জেও চিঠি দিয়েছে ইসকন কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: পথে নেমে মিছিল থেকে শেখ হাসিনাকে চিঠি; বাংলাদেশে হামলায় এ রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি
বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা সরকারের কাছে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার লিখিত আর্জি জানিয়েছেন এপার বাংলার লেখক, শিল্পী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব-সহ বিশিষ্টজনেদের একাংশ।
বাংলাদেশের পুজোয় দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছেন এরাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।