কলকাতা : বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনায় শুরু থেকেই প্রতিবাদে মুখর সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিন। একের পর এক ট্যুইটে তিনি তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কখনও বিবৃতি দিয়ে, কখনও ছবি পোস্ট করে বাংলাদেশের ঘটনাকে 'লজ্জা' বলে ধিক্কার জানান সাহিত্যিক। তাঁর আক্রমণের নিশানায় ছিল হাসিনা সরকারও। 

আবারও একবার ট্যুইটে বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনার নিন্দা করে তসলিমা লিখলেন, ' সাম্প্রদায়িক হিংসার বিরুদ্ধে ' লজ্জা' উপন্যাস লিখেছিলাম। ২৮ বছর আগে তার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল খালেদা জিয়া সরকার। প্রধানমন্ত্রী হাসিনা যদি সত্যিই সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের বিরোধী হয়ে থাকেন, তাহলে এখনও তিনি ওই বইয়ের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেন না কেন? ' 








এর আগে তসলিমা সোশ্যাল মিডিয়াতেই লেখেন, লজ্জা ... এখনও প্রাসঙ্গিক। সঙ্গে পোস্ট করেন সাম্প্রদায়িক হিংসার কিছু ছবি। 
গত ১৮ অক্টোবর তসলিমা ট্যুইট করেন, গত রাতে পীরগঞ্জ, রংপুর -দুই গ্রামে জেহাদিরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আর হাসিনা বাঁশী বাজাচ্ছেন। 






ওই ঘটনায় ট্যুইট করেছেন কবি ও গীতিকার জাভেদ আখতারও। তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, বাংলাদেশে যা ঘটেছে তা গভীর লজ্জার।  যারা সংখ্যালঘুদের দমিয়ে দিতে চাইছে তারা কাপুরুষ ও সাম্প্রদায়িক। শেখ হাসিনা, যিনি ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধে বিশ্বাস করেন, তাঁর আমলে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল? 





অন্যদিকে, উত্‍সবের মধ্যে বাংলাদেশে অশান্তি ছড়ানোর ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করল হাসিনা সরকার। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার সারে চারশোর বেশি অভিযুক্ত। রুজু হয়েছে ৭১টি মামলা। কুমিল্লায় অশান্তি ছড়ানোয় মূল অভিযুক্ত ইতিমধ্যেই চিহ্নিত। রংপুরে অশান্তি কবলিত এলাকায় পরিদর্শন বাংলাদেশের প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রীর। 

সম্প্রতি কুমিল্লা থেকে রংপুর, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, সিলেট, ফেনী থেকে অশান্তি-ঘরবাড়ি ভাঙচুর, আগ্নিসংযোগের মতো ঘটনার খবর সামনে আসে। উৎসবের আবহে এই হামলার নিন্দায় সোচ্চার হয়েছে গোটা বিশ্ব।