বেজিং: উত্তরপ্রদেশ সহ ৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির চোখধাঁধানো সাফল্যে নরেন্দ্র মোদীর 'কট্টর মানসিকতা' আরও চাঙ্গা হবে, চিনের মতো নানা দেশের সঙ্গে ভারতের বিবাদ-বিতর্কে 'রফা-সমঝোতা' কঠিন হয়ে পড়বে, ভারত-চিন সম্পর্কে তার 'ছাপ পড়বে' বলে অভিমত জানাল চিনের সরকারি মিডিয়া।

এ দেশের ভোট নিয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়ায় শাসক চিনা কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত 'গ্লোবাল টাইমস'-এ বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদী 'কাজের মানুষ', 'কট্টরপন্থায় বিশ্বাসী', তাঁর নেতৃত্বে ভারতের ঘরোয়া ও বৈদেশিক নীতি বদলে গিয়েছে। সম্প্রতি দেশের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তরপ্রদেশে নিজের দল বিজেপিকে নেতৃত্ব দিয়ে ভোটে জিতিয়েছেন মোদী, আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যেও দলের ভিত মজবুত করেছেন। ভোটের ফলাফলে শুধু মোদীর ২০১৯-এর সাধারণ নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনাই উজ্জ্বল হয়নি, অনেকে এও বলছেন, দ্বিতীয় দফায় তাঁর ক্ষমতায় আসা এখনই নিশ্চিত।

গ্লোবাল টাইমস-এর সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, মোদী কাজের মানুষ, মানসিকতায় কট্টরপন্থী। বড় অঙ্কের নোট বাতিলের মতো ঘরোয়া পদক্ষেপে, কূটনীতির ক্ষেত্রেও তাঁর কট্টরবাদী মানসিকতার প্রতিফলন ঘটেছে।  আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কখনও কাউকে না চটানোর ভারতের আগের নীতি বদলে ভারতের যাতে সবচেয়ে বেশি ফায়দা হয়, সেজন্য বিভিন্ন দেশের বিবাদে একটি স্পষ্ট পক্ষ নিচ্ছেন উনি। বেজিং, মস্কোর সঙ্গে যোগাযোগ উনি বাড়িয়েছেন বটে, সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সদস্যপদের আবেদনও করেছেন।  তারপরও কিন্তু আমেরিকা, জাপানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা যোগাযোগ বাড়িয়েছেন, এশিয়া-প্রশান্তমহাসাগরীয় এলাকায় আমেরিকার তত্পরতা বৃৃদ্ধি সমর্থন করেছেন, দক্ষিণ চিন সাগর ইস্যুতে মার্কিন অবস্থানেই সায় দিয়েছেন। মোদী পরের ভোটে জিতলে ভারতের বর্তমান কঠোর মনোভাবই দেখা যাবে, যা নিঃসন্দেহে একটি দেশের নিজের উন্নতির ক্ষেত্রে  ভাল  ব্য়াপার। কিন্তু এর আসল তাত্পর্য্য হল, অন্য় দেশগুলির সঙ্গে বিবাদ মেটানোয় আপসরফা করা আরও কঠিন হয়ে উঠবে। যেমন বেজিং-দিল্লি সীমান্ত বিরোধ। চিন-ভারত সীমান্তে দেশের জওয়ানদের সঙ্গে দেওয়ালি পালন করে মোদী  তাঁর কট্টর মনোভাব দেখিয়েছেন। কোনও আশার আলোই নেই।