লন্ডন: লকডাউনে জন্মদিনের পার্টি (Partygate Scandal)। তাতে আবার বিধি-নিষেধের (COVID-19 Norms) তোয়াক্কা নেই। খবর চাউর হতেই সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। এ বার জরিমানাও কাঁধে চাপল ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী (Britain Prime Minister) বরিস জনসনের (Boris Johnson)। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী হলেন তাঁর সরকারের অর্থমন্ত্রী, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। ওই পার্টিতে সামিল হওয়ার জন্য জরিমান দিতে হচ্ছে তাঁকেও।
পার্টিগেট স্ক্যান্ডাল ঘিরে সমালোচনায় বিদ্ধ বরিস
২০২০-র জুন মাসে, করোনার প্রকোপ যখন তুঙ্গে, বরিসের জন্মদিন উপলক্ষে সারপ্রাইজ পার্টি রাখা হয়েছিল ডাউনিং স্ট্রিটের ক্যাবিনেট রুমে। এ ছাড়াও, ওই সময়ে এদিক- ওদিক দু’একটি পার্টিতে বরিস এবং ঋষি গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। গোটা ব্রিটেন জুড়ে তখন লকডাউন চলছে। কড়া বিধি-নিষেধে কার্যত ঘরবন্দি হয়ে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: Sri Lanka Economic Crisis: দেনা মেটাতে অক্ষম শ্রীলঙ্কা, উল্টে অর্থসাহায্য প্রার্থনা
সেই অবস্থায় দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর এমন আচরণে নিন্দার ঝড় বয়ে যায় দেশ জুড়ে। প্রশ্ন ওঠে, নিজে প্রধানমন্ত্রী হয়ে কী করে সরকারি বিধি লঙ্ঘন করার স্পর্ধা দেখাতে পারলেন বরিস! পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে তাঁদের বিবেচনাহীন এই কাণ্ডকে কেলেঙ্কারির রূপ দেওয়া হয়। ‘পার্টিগেট স্ক্যান্ডাল’ নামে দাগিয়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। তাতেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন বরিস এবং ঋষি। চাপানো হয়েছে জরিমানা। বরিসের দফতর জরিমানার কথা স্বীকারও করে নিয়েছে (Boris Johnson Fined)।
মোটা টাকা জরিমানা বরিস এবং তাঁর মন্ত্রীকে
ঠিক কত টাকা জরিমানা করা হচ্ছে বরিস এবং ঋষিকে, তা যদিও নির্দিষ্ট ভাবে জানা যায়নি। তবে কোভিড বিধিভঙ্গের জন্য ব্রিটেনে সাধারণত ৬০ থেকে ৩০০ পাউন্ড জরিমানা নেওয়া হয়, ভারতীয় মুদ্রায় যা ৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকার মতো। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে এই অঙ্ক ঠিক হয়। বরিস এবং ওই পার্টিতে অংশগ্রহণকারী ৫০ জনকে জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দফতর স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। ১০০ জনকে আইনি নোটিস ধরানো হয়।