লন্ডন: ছাত্রছাত্রীরা কী যে কাগের ঠ্যাং বগের ঠ্যাং লিখছে পড়া যাচ্ছে না।
তাই হাতে লিখে পরীক্ষা দেওয়ার ৮০০ বছরের কুলীন রীতি তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে কেমব্রিজ। বদলে পরীক্ষা দেওয়া যেতে পারে ল্যাপটপ বা আইপ্যাড ব্যবহার করে।
মেধাবী না হলে কেমব্রিজের মত বিশ্ববিদ্যালয়ে যে পড়ার সুযোগ পাওয়া যায় না, তা সকলের জানা। কিন্তু সেখানকার ছাত্রছাত্রীদের হাতের লেখা পড়তে অধ্যাপকদের মাথার ঘাম রীতিমত পায়ে ফেলতে হচ্ছে। শিক্ষাবিদরা জানাচ্ছেন, এর কারণ আর কিছুই নয়, ল্যাপটপের অত্যধিক ব্যবহার। সে জন্যই পড়ুয়াদের হাতের লেখা দিন কে দিন দুর্বোধ্য হয়ে উঠেছে।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় জানাচ্ছে, ১৫-২০ বছর আগেও দিনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাতে লিখত ছাত্রছাত্রীরা। এখন পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, পরীক্ষার হল ছাড়া আর হাতে লেখার দরকারই পড়ে না। ফলে কার্যত সকলেরই লেখা অপাঠ্য।
পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে, যাদের হাতের লেখা একেবারেই পড়া যাচ্ছে না, সেই পড়ুয়ারা গরমের ছুটিতে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই আধিকারিকের উপস্থিতিতে চিৎকার করে পড়ে দিচ্ছে নিজেদের লেখা।
এ বছরের শুরুতে পরীক্ষামূলকভাবে তাই ইতিহাস ও ক্লাসিক বিভাগে টাইপ করে পরীক্ষা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই বিভাগগুলির অধ্যাপকরা হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। যদিও কেমব্রিজের মত বিশ্ববিদ্যালয়ে হাতে লেখার রীতি উঠে যাবে এটা মানতে অনেকেই রাজি নন। তাঁদের অনুরোধ, দেখা হোক, ক্লাস লেকচারও ছাত্রছাত্রীরা হাতেই লিখছে, তা না হলে হাতে লেখাই একটা সময় নস্টালজিয়া হয়ে যাবে।
পড়ুয়াদের হাতের লেখা অপাঠ্য, ৮০০ বছরের হাতে লিখে পরীক্ষার রীতি তুলে দিতে পারে কেমব্রিজ
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
10 Sep 2017 03:39 PM (IST)
NEXT
PREV
আন্তর্জাতিক (world) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -