ঢাকা: সিলেটের জঙ্গিদমন অভিযানে খতম হয়েছে গত বছরের ঢাকার কাফে হামলার মূল চক্রী তথা জঙ্গিগোষ্ঠী নিও-জামতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (নিও-জেএমবি)-র অন্যতম শীর্ষ নেতা মুসা। এমনটাই দাবি বাংলাদেশ পুলিশের।
এদিন বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি এম মণিরুজ্জামান জানান, সিলেটের অভিযানে যে চারজন জঙ্গি খতম হয়েছে, তাদের মধ্যে সম্ভবত রয়েছে মুসা। তিনি জানান, গোয়েন্দা রিপোর্ট এমনটাই উল্লেখ করছে। যদিও, তিনি যোগ করেন, নিহতদের মধ্যে মুসা আছে কি না, তা নিশ্চিত হবে ফরেন্সিক পরীক্ষার পরই।
বাংলাদেশের শীর্ষ আধিকারিকরা জানান, গত বছরের ১ জুলাই ঢাকার গুলশনে হোলে আর্টিসান কাফে-তে ঘটা জঙ্গি হামলার পর, দেশে ব্যাপকভাবে শুরু হয় জঙ্গিদমন অভিযান। তাতে নিও-জেএমবি গোষ্ঠীর একাধিক শীর্ষ নেতা খতম হয়। তারপরই দলের ভার নিজের কাঁধে নেয় মুসা বলে খবর।
গত শুক্রবার, ঢাকা বিমানবন্দরে এক আত্মঘাতী জঙ্গি বিস্ফোরণ ঘটায়। হামলার দায় স্বীকার করে ইসলামিক স্টেট বা আইএস। তারপরই এখনও পর্যন্ত দীর্ঘতম জঙ্গিদমন অভিযান ‘ওপারেশন টোয়াইলাইট’ নামে বাংলাদেশ প্রশাসন। এই প্রেক্ষাপটেই সিলেটের জঙ্গি আস্তানায় চার জঙ্গিকে খতম করেছে বাংলাদেশ সেনা। নিহতদের মধ্যে একজন মহিলা।
শুক্রবার থেকে সোমবার —টানা চারদিন ধরে চলে ওই অভিযান। নিরাপত্তারক্ষীদের রুখতে শনিবার একাধিক বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা, যার দায় স্বীকার করে আইএস। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ২ পুলিশ অফিসার সহ ৬ জনের। আহত হন ৫০ জন। সোমবার রাতে এক মহিলা সহ চার জঙ্গির দেহ উদ্ধার করা হয়। সকলের গায়ে বিস্ফোরক-বাঁধা ছিল বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, জঙ্গিদমন অভিযান খতম হলেও, এখনও সেখানে জঙ্গিদের রাখা বিস্ফোরক ও বুবি-ট্র্যাপ নিষ্ক্রিয় করার কাজে ব্যস্ত বাংলাদেশ সেনা। নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটিয়ে একের পর এক জায়গা ‘স্যানিটাইজ’ করা হচ্ছে। পাঁচতলা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করার আগে ড্রোনের মাধ্যমে বিস্ফোরক খোঁজা হচ্ছে।