বেজিং: ভারতের নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপে (এনএসজি) সদস্যপদ না মেলায় নাম না করে চিনকে দুষেছেন রাজনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি টম শ্যানন। এর পাল্টা দিয়েছে চিন। তাদের অভিযোগ, ভারতের এনএসজি-তে প্রবেশ না হওয়া নিয়ে প্রকৃত তথ্য এড়িয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। সিওলে এনএসজি-র প্লেনারি বৈঠকে কোনও নির্দিষ্ট দেশকে সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে কোনও আলোচনা হয়নি বলেও দাবি বেজিংয়ের।

চিনের নাম উল্লেখ না করে গতকাল শ্যানন বলেন, পরমাণু লেনদেনের ক্ষমতার অধিকারী ৪৮টি দেশের ব্লক এনএসজি-তে হওয়া ঐকমত্য একটি দেশ ভাঙতে পারে। তবে সেই সদস্য দেশটিকেই তার দায় নিতে হবে।

 

মার্কিন কর্তার মন্তব্যে তেতে উঠে বেজিংয়ের তরফে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের কর্তা হং লেই আজ সাংবাদিকদের বলেন, এনএসজি নিয়ে মার্কিন অফিসারদের বক্তব্য প্রসঙ্গে এটাই বলতে চাই যে, এই কর্মকর্তাটি আসল তথ্যের ধার ধারেন না। সিওলের বৈঠকে ভারতের অন্তর্ভুক্তির ইস্যুটি আলোচ্য বিষয়সূচিতেই ছিল না। কোনও বিশেষ দেশের গোষ্ঠীতে ঢোকার ব্যাপারে সেখানে কথা হয়নি। প্লেনারি বৈঠকের নিউজ রিলিজে বলা হয়েছিল, সংশ্লিষ্ট দেশগুলির অন্তর্ভুক্তির টেকনিকাল, আইনি ও রাজনৈতিক দিক সংক্রান্ত প্রশ্ন, বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

 

দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের পরিকল্পনার লক্ষ্যই হল ভারত মহাসাগর, শ্যাননের এহেন মন্তব্যেও চটেছে চিন। হং লেই বলেন, আমরা ওই মন্তব্যে অত্যন্ত অখুশি। দক্ষিণ চিন সাগরে চিন যা করছে, তা পাগলামো ছাড়া কিছু নয়, বলেছিলেন শ্যানন।

 

পাল্টা হং লেই বলেন, দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের কার্যকলাপ, অভিপ্রায় খুবই পরিষ্কার। প্রথমত, আমাদের এলাকাগত সার্বভৌমত্ব, নৌ সংক্রান্ত কার্যকলাপের অধিকার বজায় রাখা। দ্বিতীয়ত, আলোচনা, রফা-বোঝাপড়ার পথে বিরোধ, সমস্যার মীমাংসা করা। অঞ্চলের বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে ফাটল তৈরি করা, ঠিক ও ভুলের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে গুলিয়ে দেওয়াই মার্কিন কর্তার মন্তব্যের উদ্দেশ্য। তা অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন। দক্ষিণ চিন সাগর ইস্যুতে কোনও পক্ষ না নেওয়ার প্রতিশ্রুতি মেনে চলুক, এটাই বলব আমেরিকাকে। ইতিবাচক ভূমিকা পালন করুন।