বেজিং: দক্ষিণ চিন সাগর ইস্যু উঠতে পারে নরেন্দ্র মোদী, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনের বৈঠকে। ২৬ জুন প্রধানমন্ত্রী মোদী মুখোমুখি হবেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের। সেখানে পারস্পরিক স্বার্থ জড়িত, এমন নানা দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রসঙ্গে কথা হবে দুই শীর্ষ রাষ্ট্রনেতার। তার প্রাক্কালে কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণ চিন সাগরের শান্তি বিঘ্নিত করা চলবে না বলে ভারত ও আমেরিকাকে বার্তা দিল বেজিং।
সেখানে দু দেশকে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে আহ্বান জানিয়েছে চিনা বিদেশমন্ত্রক।
ভারতীয়-প্রশান্তমহাসাগরীয় এলাকায় ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক নিয়ে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াং বলেন, চিন ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির লাগাতার প্রয়াসের ফলে ওখানে পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়ে আসছে। আমাদের প্রত্যাশা, দক্ষিণ চিন সাগরে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বহাল রাখতে আঞ্চলিক দেশগুলি যে চেষ্টা চালাচ্ছে, অন্য সব দেশ, বিশেষ করে এই অঞ্চলের বাইরের দেশগুলি তাকে সম্মান জানাবে। এ ব্যাপারে তারা একটা গঠনমূলক ভূমিকা নিতে পারে।
প্রসঙ্গত, গোটা দক্ষিণ চিন সাগরই তার বলে দাবি করে বেজিং। মানতে নারাজ ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, ব্রুনেই ও তাইওয়ান।
দক্ষিণ চিন সাগর ও পূর্ব চিন সাগর, দুটিরই এলাকাগত দখলদারি নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছে চিন। নিজের দখলে থাকা একাধিক দ্বীপ ও খাড়ির অনেকগুলিতেই সামরিক ঘাঁটি তৈরি করেছে তারা। দুটি এলাকাই খনিজ সম্পদ, তেল ও আরও নানা রকমের প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। বিশ্ব বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও গুরুত্ব আছে দুই এলাকার।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর আমেরিকা প্রথম 'ফ্রিডম অব নেভিগেশন' অভিযানের আওতায় দক্ষিণ চিন সাগরের একটি কৃত্রিম দ্বীপের কাছে নৌজাহাজ পাঠায়। ক্ষিপ্ত চিন একে আমেরিকার 'দায়িত্বজ্ঞানহীন' আচরণ আখ্যা দিয়ে পাল্টা হুঁশিয়ারি দেয়, আমেরিকা ইচ্ছা করে প্ররোচনা দিচ্ছে, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে এর চরম ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।
Election Results 2024
(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
দক্ষিণ চিন সাগরে শান্তি নষ্ট করা চলবে না, ভারত ও আমেরিকাকে বলল বেজিং
Web Desk, ABP Ananda
Updated at:
23 Jun 2017 07:00 PM (IST)
NEXT
PREV
আন্তর্জাতিক (world) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -