বেজিং: ডোকালামের আধিপত্য নিয়ে চিনের ‘মিথ্যে দাবি’ ফাঁস।
সিকিম সেক্টরের ডোকালাম অঞ্চলের অধিকারের স্বপক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে বেজিং সম্প্রতি দাবি করেছে, ১৮৯০ সালে চিন-ব্রিটেন চুক্তিকে মান্যতা দিয়েছিলেন জওহরলাল নেহরু। কিন্তু, ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর লেখা চিঠি থেকেই পরিষ্কার, ভূটানের একটি অঞ্চলকে যে চিন নিজেদের এলাকা হিসেবে দাবি করেছিল, তার ঘোর বিরোধিতা করেছিলেন নেহরু।
সেই সময়ও সিকিম ও ভূটানর সীমান্ত সমস্যা নিয়ে চিনের সঙ্গে আলোচনা চেয়েছিল ভারত। যার বিরোধিতা করেছিল বেজিং। উত্তরে ১৯৫৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর চিনা প্রধানমন্ত্রী ঝৌ এনলাইকে লেখা চিঠিতে নেহরু লিখেছিলেন, আমি বুঝতে পারছি না, কেন ভূটান-সিকিম সীমান্ত-সমস্যা আলোচনার পরিধির মধ্যে থাকবে না।
নেহরু বলেন, চিনা মানচিত্রে স্পষ্ট, ভূটানের একটা বড় অংশকে তিব্বতের অঙ্গ হিসবে দেখানো হয়েছে। দীর্ঘ চিঠিতে নেহরু চিনকে জানিয়ে দেন, ভূটানের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে, তাতে সেদেশের বৈদেশিক সম্পর্ক নিয়ে অন্য দেশের সঙ্গে আলোচনা করার একমাত্র নির্ধারিত মাধ্যম হল ভারত। কারণ, চুক্তি অনুযায়ী, ভূটানের প্রতিনিধিত্ব করছে ভারত সরকার।
চিঠিতে নেহরু সাফ জানিয়ে দেন, ১৮৯০ সালে ব্রিটিশদের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে চিন স্বীকার করে নেয়, সিকিমের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ (অভ্যব্তরীণ ও বৈদেশিক) করবে ভারত। ১৮৯৫ সালে সিকিমের সীমান্তও স্পষ্টভাবে অঙ্কিত হয়। ফলে, সিকিম নিয়ে কোনও সংশয় থাকার কথা নয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৬ সালে ভারতের অঙ্গরাজ্য হয় সিকিম। এই একটি রাজ্য যার সঙ্গে চিনের নির্ধারিত সীমান্ত রয়েছে। যদিও, ডোকা লা (ভূটানের দেওয়া নাম ডোকালাম) অঞ্চলকে নিজেদের ডংল্যাং অঞ্চলের অংশ হিসেবে দাবি করে আসছে চিন।