সেখানে আগে থেকে তৈরি করা ভাষণে মোদী, নেতানইয়াহু-দুজনেই পরস্পরকে 'আমার বন্ধু' বলে সম্বোধন করেন, তিনবার একে, অন্যকে আলিঙ্গনও করেন। তবে চমকে দিয়ে হিন্দিতে নেতানইয়াহু মোদীকে হিন্দিতে বলেন, 'আপকা সোয়াগত হ্যায়, মেরে দোস্ত।' এও বলেন, 'আমরা ভারতকে ভালবাসি।' জবাবে মোদীও হিব্রুতে বলেন, 'শালোম, এখানে এসে আমি খুশি।'
দুই নেতার প্রতিটি পদক্ষেপে তাঁদের পরস্পরের রসায়নের ছাপ দারুণ ফুটে ওঠে।
৭০ বছর আগে ইজরায়েলের প্রতিষ্ঠার পর প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সফর বলে কথা, তাই তাকে যে তাঁরা কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন, তা বুঝিয়ে দিতে কোনও চেষ্টাই বাদ দিচ্ছেন না সে দেশের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব।
তার ওপর প্যালেস্তাইনকে ভারতের সমর্থনের চিরাচরিত অবস্থান সত্ত্বেও ইজরায়েলের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ার বার্তা দিতে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী, আরও বিনিয়োগ টানার পাশাপাশি ইজরায়েল থেকে প্রতিরক্ষা ও অতি উন্নত মানের প্রযুক্তি পাওয়া সুনিশ্চিত করাই যার উদ্দেশ্য। 'চিরাচরিত পথের বাইরে' এই সফর সত্যিই ঐতিহাসিক আখ্যা দেন নেতানইয়াহু।
তিনদিনের সফরের শুরুতে মোদীকে গার্ড অন অনার দেওয়া হয়। মোদীকে ভারত ও দুনিয়ার বিরাট নেতা আখ্যা দিয়ে নেতানইয়াহু বলেন, ৭০ বছর ধরে আমরা অপেক্ষা করছি, কবে ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী আসবেন।
মোদী, নেতানইয়াহু দুজনেই সব দিক থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন গতি আনার কথা বলেন, সন্ত্রাসবাদের মতো দুটি দেশের কাছেই সমান বিপদগুলিকে যৌথ ভাবে মোকাবিলার অঙ্গীকারও করেন।
নেতানইয়াহু মোদীকে বলেন, আমাদের প্রথম সাক্ষাতে আমাকে বলা আপনার একটি কথা আমার মনে আছে-ভারত ও ইজরায়েল সম্পর্কের ক্ষেত্রে আকাশ হল সর্বোচ্চ সীমারেখা। কিন্তু আজ আমি বলব, আকাশও সীমা নয়। কেননা আমরা মহাকাশ পরস্পরের সঙ্গে সহযোগিতা করছি। দুটি দেশের সহযোগিতার বিপুল সম্ভাবনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা পরস্পর মিলে অনেক কিছুই করতে পারি।