বেজিং ও নয়াদিল্লি: কূটনীতির মাধ্যমে অত্যন্ত ‘সংযতভাবে’ ডোকালামে ভারতীয় বাহিনীর ‘অনধিকার প্রবেশ’ করার ইস্যুটি সামলেছে চিন। কারণ, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ককে ‘মূল্য ও গুরুত্ব’ দেয় চিন। এমনটাই দাবি করলেন সেদেশের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং উই।
ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিতে ভারতে এসেছেন ওয়াং। তার আগে দেশীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভাল প্রতিবেশীসুলভ সহৃদয় সম্পর্ক বজায় রাখে চিন। কারণ, আমরা দুজনই প্রতিবেশী রাষ্ট্র হওয়ার পাশাপাশি প্রাচীন সভ্যতাও।
তবে একইসঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন, নিজেদের সার্বভৌমত্বের অধিকার এবং ভূখণ্ডের অখণ্ডতাও রক্ষা করতে জানে চিন। ওয়াং বলেন, চিনের ডং লাংয়ে (ডোকালাম) ভারতীয় বাহিনীর অনধিকার প্রবেশের ইস্যুটি জাতীয় স্বার্থেই অত্যন্ত সন্তর্পণ এবং সংযমের সঙ্গেই নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
ওয়াং যোগ করেন, ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক স্তরে এই নিয়ে বিস্তর বৈঠক হয়। এরপরই, ভারত সেখান থেকে জওয়ান ও সরঞ্জাম সরিয়ে নেয়। এর থেকেই স্পষ্ট, চিন যে শুধুমাত্র ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ককে মূল্য ও গুরুত্ব দিচ্ছে তাই নয়। আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতেও কতটা দায়বদ্ধ ও আন্তরিক বেজিং।
ওয়াংয়ের বিশ্বাস, দ্বিপাক্ষিক স্তরে সুসংহত যোগাযোগ বৃদ্ধি ও ভুল বোঝাবুঝি হ্রাস পেলেই ভারত-চিন সহযোগিতা বিকশিত হবে। একদিন ড্রাগন ও হাতিকে সকলে একসঙ্গে নাচতেও দেখবেন—ঠিক যেমনটা উভয় দেশের নেতৃত্ব স্বপ্ন দেখেন।