বেজিং: জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করলে শাস্তি হিসাবে বর্তমানে ১৫ দিন আটক রাখা হয় চিনে। গতকাল শুরু হওয়া চিনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস (এনপিসি)-এর স্ট্যান্ডিং কমিটির দ্বিমাসিক অধিবেশনে খসড়া প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, এবার থেকে জাতীয় সঙ্গীত মার্চ অব দি ভলানটিয়ার্স-এর অসম্মানের শাস্তি হোক তিন বছর পর্যন্ত কারাবাস।


চিনের সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা জিনহুয়া-র খবর, জাতীয় সঙ্গীত বাজতে পারে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে। যেমন, এনপিসি অধিবেশনের শুরু ও শেষের সময়, সাংবিধানিক শপথ গ্রহণ অনু্ষ্ঠানে, পতাকা উত্তোলনের সময়, বড় ধরনের পুরস্কার বিতরণী সভায়, ন্যাশনাল মেমোরিয়াল ডে-র অনুষ্ঠানে, গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক অনুষ্ঠানে, বড় ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও অন্যান্য এ জাতীয় উত্সব, অনুষ্ঠানে।

খসড়া প্রস্তাবে অন্ত্যোষ্ঠি অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীতের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এও বলা হয়েছে, প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে ব্যাকগ্রাউন্ডে তা বাজানো যাবে না, 'সঙ্গতিপূর্ণ নয়', এমন বেসরকারি, বাণিজ্যিক আসরেও বাজবে না জাতীয় সঙ্গীত, তা আইনবিরুদ্ধ কাজ হবে।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যক্রমে জাতীয় সঙ্গীত অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। দেশপ্রেমের প্রকাশ ঘটাতে সঠিক, মানানসই অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার জন্য নাগরিকদের উত্সাহ দিতেও বলা হয়েছে খসড়ায়।

আগের আইনে জাতীয় সঙ্গীতকে নিজেদের খেয়াল খুশিমতো বিকৃত করে বাজালে বা গাইলে বা তার অমর্যাদা করলে ১৫ দিন পর্যন্ত দোষীকে আটকে রাখা যেত।

নামী চিনা সুরকার জিন ফুজাইয়ের মতে, জাতীয় সঙ্গীত আর পাঁচ-দশটা গানের থেকে একেবারে আলাদা। তা আমাদের দেশের প্রতীক। জাতীয় সঙ্গীত বাজানো বা গাওয়ার সময় লোকে আরও বেশি আন্তরিক হবে, এটাই আইনে সুনিশ্চিত করা হোক।