বেজিং: অরুণাচল প্রদেশ সংলগ্ন তিব্বতে ব্রহ্মপুত্র থেকে শুকিয়ে যাওয়া জিনজিয়াং প্রদেশে জল সরিয়ে নিয়ে যেতে ১০০০ কিমি দীর্ঘ টানেল তৈরির পরিকল্পনা করছে, এ খবর 'একেবারে অসত্য', 'মিথ্যা' বলে খারিজ করলেন চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চ্যুনিং।


গতকালই হংকঙের সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট-এ এক রিপোর্টে বেরয়, চিনা ইঞ্জিনিয়াররা ওই সুড়ঙ্গ তৈরির প্রযুক্তি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখছেন। এও বলা হয়, এটি হবে বিশ্বের দীর্ঘতম সুড়ঙ্গ।

সীমান্তের এপার ওপারের নদী ঘিরে সহযোগিতার ওপর চিন গভীর গুরুত্ব দিয়ে যাবে বলে জানান চিনা মুখপাত্রটি।

গতকালের রিপোর্ট অনুসারে, প্রস্তাবিত সুড়ঙ্গটি একাধিক জলপ্রপাত দিয়ে সংযুক্ত করা হবে। বিশ্বের সর্বোচ্চ মালভূমি থেকে তার সূচনা হবে। সেটি শুকনো তৃণভূমি ও একাধিক মরুভূমি নিয়ে গঠিত চিনের সবচেয়ে বড় প্রশাসনিক শাখা বলে পরিচিত জিনজিয়াঙে জল নিয়ে আসবে। দক্ষিণ তিব্বতের ইয়ারলুং সাংপো নদী থেকে জল নিয়ে সরবরাহ করা হবে জিনজিয়াঙের তাকলামাকেন মরুভূমিতে। ভারতে ঢুকে ইয়ারলুং সাংপো মিশেছে ব্রহ্মপুত্রে। চিনে ব্রহ্মপুত্র ওই নামেই পরিচিত।

ভারত নিজের নদী নির্ভরতার কথা মাথায় রেখে আগেই ব্রহ্মপুত্রের ওপর চিনের একাধিক বাঁধ গড়ে তোলার উদ্যোগে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে। পাল্টা ভারত ও বাংলাদেশকে উদ্বেগ নিরসনে বেজিংয়ের আশ্বাস, তাদের কোনও বাঁধই জল মজুত করার পরিকল্পনা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়নি।