বেজিং: দলাই লামার আসন্ন অরুণাচল প্রদেশ সফর ঘিরে আবার ভারতকে হুঁশিয়ারি দিল চিন। এই নিয়ে গত এক মাসে দুবার। ৪ থেকে ১৩ এপ্রিল অরুণাচল সফরে যাচ্ছেন বিতর্কিত তিব্বতী ধর্মগুরু। আর সেই অরুণাচলকেই দক্ষিণ তিব্বতের অংশ বলে দাবি চিনের। এর আগে গত ৩ মার্চ চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াং বলেছিলেন, ভারত দলাইকে অরুণাচলে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে, এ খবরে গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন চিন। কিন্তু তারপরও তাদের আপত্তি উপেক্ষা করে দলাইকে সফরের অনুমতি বহাল রাখায় ভারতের ওপর খাপ্পা চিন। এদিন বেজিং হুমকি দিয়েছে, এতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের 'মারাত্মক ক্ষতি' হবে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রটি দলাইয়ের সফর প্রসঙ্গ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, খবরটায় আমরা খুব উদ্বিগ্ন। ভারত-চিন সীমান্তের পূব দিক সম্পর্কে চিনের অবস্থান স্পষ্ট, অবিচল।

তিনি এও বলেন, দলাই চক্র দীর্ঘদিন ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী কাজকর্মে জড়িত। এ ব্যাপারে তাদের কুখ্যাতির রেকর্ড আছে।  ওদের আসল চরিত্র পরিষ্কার জানা থাকার কথা ভারতের। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওখানে দলাইকে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত।  দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের খুব ক্ষতি হবে এতে। ভারত-চিন সম্পর্ক নষ্ট করবে এ ধরনের সফর। আমরা ভারতকে আগের দেওয়া রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে বলেছি। বলেছি, তারা যেন ভারত-চিন সম্পর্কের ক্ষতি না করে।  ভারতকেই ঠিক করতে হবে, কী করবে।

গত বছরও দলাইয়ের অরুণাচল প্রদেশ সফরে ছাড়পত্র দেওয়ায় প্রবল আপত্তি তুলেছিল বেজিং। পাশাপাশি  ভারতে নিযুক্ত তত্কালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড রাহুল বর্মার অরুণাচল সফরেরও বিরোধিতা  করে তারা।

এদিন চিনা মুখপাত্রটি বলেন,  দলাই চক্রকে কোনও প্ল্য়াটফর্মই দেওয়া উচিত নয় ভারতের। একমাত্র তা হলেই ভারত-চিন সম্পর্ক উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে পারে। চিন-ভারত দুটি বড় উন্নয়নশীল দেশ, নিকট প্রতিবেশী। দুটি দেশের বোঝাপড়া দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব উভয়েরই। তবে এমন সম্পর্ক তৈরি হতে পারে কেবলমাত্র কিছু  নির্দিষ্ট ভিতের ওপর।

প্রসঙ্গত, ৩৪৮৮ কিমি দীর্ঘ   নিয়ন্ত্রণ রেখা ঘিরে ভারত-চিন বিরোধ রয়েছে।