বেজিং: করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির জন্য সারা বিশ্বজুড়েই চেষ্টা চলছে। মারণ এই ভাইরাসের ‘আঁতুড় ঘর’ চিনে ভ্যাকসিনের পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি। চিনের সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিন করোনাভ্যাক নিরাপদ ও অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রাথমিক পর্বে ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সী স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর যথেচ্ছভাবে প্রয়োগ করা হয়েছিল। এই পরীক্ষা থেকেই এই ভ্যাকসিন সম্পর্কে ইতিবাচক ফল পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি গবেষকদের।
দ্য ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৪ দিন অন্তর ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ দেওয়ার ২৮ দিনের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে কাজ করতে শুরু করতে পারে।


গবেষণা রিপোর্টে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও উৎপাদন ক্ষমতার কথা মাথায় রেখে অ্যান্টিবডি গঠনে সর্বোচ্চ ডোজও চিহ্নিত করা হয়েছে গবেষণায়।
চিনের জিয়াংশু প্রভিনশিয়াল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের গবেষক ফেংকাই ঝু বলেছেন,টিকা দানের ২৮ দিনের মধ্যে দ্রুত অ্যান্টিবডি গঠনে করোনাভ্যাক সক্ষম বলে গবেষণায় দেখা গিয়েছে। এরফলে এই ভ্যাকসিন মহামারীর সময় জরুরীকালীন ব্যবহারের ক্ষেত্রে উপযুক্ত বলেই তাঁরা মনে করছেন।
বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় ৪৮ করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ চলছে। এরমধ্যে একটি হল করোনাভ্যাক।
এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ যে স্বেচ্ছাসেবীদের ওপর করা হয়েছে, তাঁদের করোনা আক্রান্ত হওয়া কোনও ইতিহাস নেই।
প্রথম পর্বে ১৬ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ১৪৪ স্বাস্থ্যবান স্বেচ্ছাসেবীর ওপর তা প্রয়োগ করা হয়েছিল। অংশগ্রহণকারীদের দুটি ভাগে ভাগ করে পরীক্ষা চালানো হয়।
প্রথম পর্বের পরীক্ষায় ক্ষতিকারক প্রতিক্রিয়া কম ও উচ্চ ডোজের রোগীদের ক্ষেত্রে একই ধরনের ছিল- তা হল ইঞ্জেকশনের জায়গায় যন্ত্রণা।
প্রথম পর্বের অংশগ্রহণকারীদের সাতদিনের পর্যবেক্ষণ পর্ব শেষ হলে দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা শুরু হয়। ৩ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত প্রায় ৬০০ স্বেচ্ছাসেবী ওই পরীক্ষায় যোগ দেন। এক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবীদের দুটি ভাগে ভাগ করে পরীক্ষা চালানো হয়।
প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের মাঝে গবেষকরা উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে উৎপাদন প্রক্রিয়াতে বদল করেন।
দ্বিতীয় দফার পরীক্ষায় রোগ প্রতিরোধ সংক্রান্ত সাড়া আরও ভালো পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি।