বেজিং: জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান হল বিয়ে। কথায় বলে লাখ কথার আগে বিয়ে হয় না। বর ও কনের পরিবারের মধ্যে কথাবার্তার মধ্যে বিয়ের অনুষ্ঠান সূচী স্থির হয়। সেই সূত্রে বিয়ের আগেই এক পরিবার অন্য পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হয়ে ওঠেন। কিন্তু চিনের এক যুবক বিয়ের আগে হবু কনের পরিবারের সঙ্গে যাঁদের পরিবারের লোকজন ও অতিথি বলে পরিচয় দিয়েছিলেন, তাঁরা আসলে ভাড়ায় এসেছিলেন  । এ কথা জানতে পেরে স্তম্ভিত হয়ে যান কনে।


সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, কনে বিয়ের আসরে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন।কিন্তু তাঁর বর বারবার আশ্বাস দিতে থাকেন যে, তাঁরা আসছেন। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ কেটে যাওয়ার পরও বরের বাবা-মা না আসায় কনে তাঁর বোনকে খোঁজ নিতে বলেন কনে জিয়াও লিউ। তিনি জানতে পারেন যে বিয়ে বাড়িতে যে প্রায় ২০০-র বেশি অতিথি এসেছিলেন তাঁরা ট্যাক্সি চালক ও কলেজ পড়ুয়া। বরের বন্ধুর মতো আচরণ করার জন্য তাঁদের ৯-১১ পাউন্ড করে দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা বরের কেউ নন।

এর কারণটাও আশ্চর্যজনক। কারণ, বরের বাড়ির লোকজন এই বিয়েতে মেনে নিতে চাননি। তাই তাঁরা বিয়ের অনুষ্ঠানে না থাকার সিদ্ধান্ত নেন।

কনে জিয়াও প্রথমটা কোনও সন্দেহই করেননি। কারণ, তাঁরা প্রায় তিন বছর ধরে মেলামেশা করছিলেন। বর ও কনের আলাদা আলাদা বন্ধুবান্ধব ছিলেন। তাঁরা একে অপরের বন্ধুদের সঙ্গে এর আগে কখনও দেখা হয়নি। তাই বরের পরিবারের লোকজন আর বন্ধুবান্ধব কে বা কারা, তা জিয়াওয়ের পক্ষে জানা সম্ভব ছিল না। সব কিছু জানার পর হতাশ জিয়াও পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।