জুনের মাঝামাঝি ভুটানের ভূখণ্ড ডোকা লায় চিনের রাস্তা বানানোর চেষ্টা থেকে সমস্যার সূত্রপাত। ভুটানের স্বার্থরক্ষায় দায়বদ্ধতা থেকে ভারত ওই রাস্তা নির্মাণে বাধা দেয়। তখন থেকে ডোকা লায় যুযুধান ভারতীয় ও চিনা সেনা। চিনের কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত ইংরেজি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস লিখেছে, ভারতের সাবধান থাকা উচিত, যাতে ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ দু'দেশকে যুদ্ধের দিকে না ঠেলে দেয়।
এতে বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় ভারতে জাতীয়তাবাদী আবেগের আগুনে ঘি পড়েছে। এই হিন্দু জাতীয়তাবাদে ভর করেই ক্ষমতায় এসেছেন মোদী। ১৯৬২-র যুদ্ধে চিন-ভারত যুদ্ধের পর থেকেই ভারতে দাবি উঠেছে, চিনের ওপর প্রতিশোধ নেওয়া হোক। এর ফলে দেশের মধ্যে মোদীর সম্মান ও ক্ষমতা বেড়েছে ঠিকই কিন্তু ভারত অনেক বেশি করে চলে গিয়েছে রক্ষণশীলদের কবজায়। ফলে সংস্কার বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।
গ্লোবাল টাইমসের অভিযোগ, জাতীয়তাবাদী মহল থেকে দিল্লিকে চাপ দেওয়া হচ্ছে যেন বিদেশি রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে কড়া আচরণ করা হয়, বিশেষত চিন ও পাকিস্তানের ক্ষেত্রে। এবার সীমান্তে যে ঝামেলা, তাও ধর্মীয় জাতীয়তাবাদীদের কথা মাথায় রেখে চিনকে টার্গেট করা ছাড়া কিছু নয়।
এরপর সংবাদপত্রটির পর্যবেক্ষণ, ভারত চিনের থেকে দুর্বল। কিন্তু তাদের রাজনীতিক ও কূটনীতিকরা ভারতের চিন নীতি নিয়ে কোনও কাণ্ডজ্ঞান দেখাচ্ছেন না, বরং জাতীয়তাবাদে ভর করে চলছেন। ফলে বিপাকে পড়ছে ভারত। চিন বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা সেনা সরাচ্ছে না ডোকা লা থেকে।