মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাটির সদ্য প্রকাশিত এক গোপন রিপোর্টে রয়েছে এ কথা।
১৯৮৩-র ১৪ জানুয়ারির ওই রিপোর্টে এমন পরিস্থিতিতে কংগ্রেস আরও দুর্বল হবে বলেও জানিয়েছিল তারা। যদিও ভুলই প্রমাণিত হয় তাদের ধারণা। ১৯৮৪-র অক্টোবরে ইন্দিরা খুন হওয়ার পর কয়েক মাসের মধ্যে রাজীবই অভূতপূর্ব জনসমর্থনের জোয়ারে ইন্দিরার দায়িত্বভার নেন।
মার্কিন তথ্য জানার স্বাধীনতা আইনে সম্প্রতি ওই রিপোর্টের একটি পরিমার্জিত সংস্করণ প্রকাশ করেছে সিআইএ। ৩০ পৃষ্ঠার বেশি রিপোর্টে বলা হয়েছে, হঠাত্ ইন্দিরা গাঁধীর মৃত্যু হলে রাজীব গাঁধী সম্ভাব্য উত্তরসূরীদের মধ্যে থাকবেন, তিনি রাষ্ট্রপতি জৈল সিংহের সঙ্গে বোঝাপড়া রেখেই হয়ত চলবেন। কিন্তু তাঁকে ইন্দিরার জায়গায় বসানোর সম্ভাবনা এখনও অনিশ্চিত, অংশত তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার অভাবের জন্য, বাকিটা এখনও তিনি জুনিয়র বলে। ইন্দিরা যত বেশিদিন ক্ষমতায় থাকবেন, রাজীবের সম্ভাবনা তত উজ্জ্বল হবে। তবে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী করতে হলেও ক্ষমতার ওপর তাঁর রাশ বেশিদিন থাকবে না, যদি না তিনি অপ্রত্যাশিত ভাবে নিজের মায়ের মতো তীক্ষ্ণ রাজনৈতিক কৌশল রচনাকারী হয়ে ওঠেন বা দলীয় সংগঠন জোরদার করতে পারেন।
রিপোর্টে আরও বলা হয়, পার্টির বিভিন্ন গোষ্ঠীর নেতারা আর যেসব সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ভেবে দেখতে পারেন, তাঁদের মধ্যে থাকতে পারেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আর বেঙ্কটরমন, বিদেশমন্ত্রী পিভি নরসিংহ রাও, অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় ও শিল্পমন্ত্রী এন ডি তেওয়ারি।