লাহোর: পরিবারের সম্মান রক্ষায় পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে স্থানীয় আদালতের বাইরে দিদি ও তাঁর স্বামীকে গুলি করে মারল একটি ছেলে।

২২ বছরের কুলসুম বিবি পরিবারের অমতে সম্প্রতি বিয়ে করেন প্রেমিক রাফাকাতকে। কুলসুমের পরিবার আদালতে রাফাকাত তাদের মেয়েকে অপহরণ করে বলপূর্বক বিয়ে করেছে বলে অভিযোগ এনে পিটিশন দেয়। গতকাল তার শুনানিতে রাফাকাতকে নিয়ে কুলসুম মুলতান হাইকোর্টের আসতেই তাঁর ১৭ বছরের ভাই জুলকারনাইন তাঁদের ওপর গুলি চালায়।

ঘটনাস্থলেই নিহত হন কুলসুম। মারাত্মক জখম রাফাকাতের মৃত্যু হয় হাসপাতালে। বুলেটের ঘায়ে জখম তাঁদের আইনজীবীর অবস্থও সঙ্কটজনক।

হামলার পরই জুলকারনাইন পুলিশের কাছে ধরা দিয়ে অপরাধ কবুল করে। তাকে উদ্ধৃত করে মুলতানের পুলিশ অফিসার রাজা আলি বলেন, বোন ও তার প্রেমিককে পরিবারের মান ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়ায় আমিই মেরেছি।

গত মাসে করাচিতে ২০ বছরের একটি মেয়ে ও যে লোকটির সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল, তাকে তার বাবা ও ভাই কুপিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ।

পাকিস্তানে প্রতি বছরই পরিবারের সম্মান বাঁচানোর অছিলায় কয়েকশো মেয়েকে পছন্দের মানুষকে বিয়ে করায় হত্যা করে তাদের ঘরেরই লোকজন। গত বছর পঞ্জাবেই ১১০০-র বেশি মেয়ে এমন ঘটনার বলি হয়েছে।